পাস করানোর দাবি, চড়াও স্কুলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করানোর দাবিতে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার অফিসে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করা ও টেবিলের কাচ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল পুরুলিয়া চিত্তরঞ্জন উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ে। বৃহস্পতিবার বিকেলের ঘটনা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌলিশ্রী দাসের অভিযোগ, “আমাদের কিছু ছাত্রী বেশ কিছু বিষয়ে পাস করতে পারেনি। তাঁদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে বসার যোগ্য বলে আমরা বিবেচনা করিনি। কিন্তু এ দিন তাঁদের পাস করানোর দাবি তুলে বহিরাগত কিছু লোকজন আমার ঘরে এসে কাগজপত্র তছনছ করে দেয়।”
প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, “বহিরাগতরা সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু যারা কোনও বিষয়ে পাস করতে পারেনি, তাদের স্কুল কর্তৃপক্ষ উত্তীর্ণ করাতে পারে না। কিন্তু তারা কোনও কথা শুনতে চাননি। উল্টে তাদের মধ্যে কয়েকজন ঘরের টেবিলের কাগজপত্র তছনছ করে দেয়। টেবিলের কাচ মেঝেতে ফেল দেয়। পায়ে চোট লাগে।” তাঁর দাবি, ওরা ছাত্রীদের অভিভাবক নয়। বিষয়টি তিনি স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদককে জানিয়েছেন। স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক বিভাস দাস বলেন, “আমি ওই ঘটনাটি শুনেছি। কারা এমন করেছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”
এ দিন ওই গোলমালের পরে স্কুলে গিয়েছিলেন পুরুলিয়া শহর মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসুমী ঘোষ ও তৃণমূলের জেলা কমিটির অন্যতম সম্পাদিকা ছায়া দাস। তাঁরাও ছাত্রীদের পাস করানোর দাবি জানান। মৌসুমীদেবী বলেন, “ছাত্রীরা এ বার কেন খারাপ ফল করল তা প্রধান শিক্ষিকার কাছে জানতে গিয়েছিলাম। কিছু অভিভাবক তাঁদের মেয়েকে স্কুল কর্তৃপক্ষ যাতে পাস করিয়ে দেন সে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সে কথাই তাঁকে জানাতে গিয়েছিলাম।” তিনি জানান, ওই স্কুলে গোলমালের কোনও খবর তাঁরা শোনেননি। |