এক মাসে পর পর চারটি খুন হয়েছে বসিরহাটে। তার মধ্যে দু’টি খুনে অভিযুক্ত দু’জনকে ধরল পুলিশ। বসিরহাটে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি ঠিক রাখতে জেলা পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরীর নির্দেশে মহকুমা পুলিশ সক্রিয় হয়েছে বলে পুলিশের একাংশের খবর।
গত ১৮ ডিসেম্বর বসিরহাটের ৩ নম্বর কলোনির বাড়িতে মেছোভেড়ির মালিক ভুবন মণ্ডলকে খুন করা হয়। তাঁর স্ত্রী স্থানীয় ভীষ্ম নামে এক দুষ্কতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
তাঁর অভিযোগ, ভুবনবাবুর কাছে তোলা বাবদ লক্ষাধিক টাকা দাবি করেছিল ভীষ্ম। কিন্তু ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে পেরেছিলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ভীষ্মকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১৯ ডিসেম্বর বিকেলে তোলা চেয়ে না পাওয়ায় বসিরহাটের ইছামতী সেতুর সামনে এক ফল ব্যবসায়ীর গলা কেটে দেয় দুষ্কৃতীরা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
২০ ডিসেম্বর সকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই ব্যবসায়ীর দেহ মেলে বসিরহাটের মাতৃসদনের সামনে। তাঁরা হলেন শোনপুকুর ধার ইটভাটা কলোনির প্রিয়ব্রত হালদার ও দণ্ডিরহাট কাহারপাড়ার বাসিন্দা সমীর বিশ্বাস ওরফে মন্ত্রী। ওই খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে দণ্ডিরহাটের বাসিন্দা লুৎফার মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারও আগে গত ১০ নভেম্বর বিজয় সানা নামে এক ব্যবসায়ীকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই খুনের হুমকি পেয়েছেন স্বরূপনগর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মুজিবর রহমান। এর জেরে বসিরহাটের মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে দুই দুষ্কৃতীকে।
অন্য দিকে, স্বরূপনগর ব্লকের তেঁতুলিয়াতেও তোলা দিতে না চাওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়। দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হয় এক স্কুলছাত্রীও। বসিরহাট মহকুমায় এই ভাবে একের পর এক অপরাধের ঘটনায় উদ্বিগ্ন পুলিশ। তবে একে একে অভিযুক্তেরা ধরা পড়ায় খানিকটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন এলাকাবাসী। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তদন্ত এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। |