|
|
|
|
নির্দেশ সার, খোলা গাড়িতেই আবর্জনা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
ঢাকনাবিহীন গাড়িতে করে নোংরা-আবর্জনা বয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বহরমপুর পুরসভার বিরুদ্ধে। উপচে পড়া নোংরা ভর্তি গাড়ি থেকে রাস্তাতে অনেক সময় আবর্জনা পড়ছে। অথচ এ ব্যাপারে পুর কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ বিরোধীদের। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের প্রদীপ নন্দীর অভিযোগ, “পুরসভার উচিত ঢাকনাযুক্ত গাড়িতে করে শহরের আবর্জনা বহন করা। কিন্তু পুরসভা তা করে না।”
প্রতিদিন ২৮টি ওয়ার্ডের নোংরা-আবর্জনা পুরসভার সাফাই কর্মীরা গাড়ি বোঝাই করে সৈয়দাবাদ এলাকার ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যান। ঢাকনাহীন ওই নোংরাভর্তি গাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনায় বহরমপুরের নাগরিক সমাজ পুরসভার বিরুদ্ধে সরব। বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজের অধ্যক্ষ সোমেশ রায়ের ক্ষোভ, “কোনও ঢাকনা ছাড়াই গাড়িতে আবর্জনা নিয়ে যাওয়ায় বাতাসে উড়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে এলাকায়। গাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ এড়াতে নাকে রুমাল দিতে হয়।” |
|
এ ভাবেই চলে সাফাই। বহরমপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
বহরমপুর পুরসভায় নোংরা বহনের জন্য গাড়ি রয়েছে ১৮টি। অথচ ওয়ার্ড রয়েছে ২৮টি। ওয়ার্ডের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় সব জায়গা থেকে আবর্জনা তুলতে সকাল ১১টা গড়ায়। কখনও আবার তা দুপুরও হয়ে যায়। ফলে অনেক সময় সারা দিনের ময়লা-আবর্জনা জমা হওয়ায় অনেক সময় ডাস্টবিন উপচে পড়ে। এরই সঙ্গে সাফাইকর্মীদের অভিযোগ, পুরসভা তাঁদের নোংরা তোলার জন্য সংক্রমণ প্রতিরোধক গ্লাভস, মাস্ক, গামবুট-কোনও কিছুই দেয় না। কোনও সুরক্ষা ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে নিত্যদিন নোংরা সাফ করতে হয় সাফাইকর্মীদের।
এ ব্যাপারে মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয়কুমার চক্রবর্তী বলেন, “খোলা গাড়িতে নোংরা-আবর্জনা বহন করায় বাতাসে তা উড়ছে। ফলে বায়ুবাহিত বিভিন্ন রোগ-জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।”
সমস্যার কথা শিকার করেছেন পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য। তাঁর বক্তব্য, “শহরের যাবতীয় আবর্জনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে দ্রুত ঢাকনাযুক্ত গাড়ির ব্যবহার করা হবে। কোনও বেসরকারি সংস্থাকে ওই কাজের বরাত দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা চলছে। তবে সাফাইকর্মীদের গ্লাভস, মাস্ক, গামবুট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের ‘অসুবিধা’ হয় বলে তাঁরা ও সব ব্যবহার করতে চান না।” |
|
|
|
|
|