ফার্মার্স ক্লাবে উদ্যোগী নাবার্ড
শুধুমাত্র কৃষিক্ষেত্রে নয়। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অন্যান্য সরকারি পরিষেবাগুলির সুবিধা বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে জেলায় ফার্মার্স ক্লাবের সংখ্যা বাড়াতে চাইছে নাবার্ড। জেলার কৃষি ও প্রশাসনিক কর্তারাও চান নাবার্ডের এই সব ক্লাবগুলিতে বেশি সংখ্যায় গ্রামীণ মানুষের অন্তর্ভুক্তি।
মুর্শিদাবাদ জেলার কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় গত বছর ৮৬টি এবং এ বছর ৯০টি ফার্মার্স ক্লাব গড়ে তোলা হয়েছে। জেলায় বর্তমানে ফার্মার্স ক্লাবের সংখ্যা ২৮৪টি। সুতির আহিরণ, সাদিকপুর ও নূরপুর পঞ্চায়েতে ৩টি নতুন ফার্মার্স ক্লাব গঠন করা হয়েছে। অন্তত চারশো চাষি এই ক্লাবের সদস্য। নামে ফার্মার্স ক্লাব হলেও গ্রামীণ সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নে কাজ করবেন তাঁরা। কৃষি-সহ সর্বস্তরে উন্নত ব্যবস্থা চালু হলেও তার সুফল মানুষের কাছে সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া যায়নি। এই সব ক্লাবগুলির মাধ্যমে গ্রামবাসী ও সরকারি প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলা সহজ হবে। নাবার্ডের মুর্শিদাবাদ জেলার অধিকর্তা জি কেশবরাও বলেন, ‘‘গ্রামীণ উন্নয়নে কৃষিক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে সারা বিশ্বে। চাষের বহু আধুনিক যন্ত্রপাতি বেরিয়েছে। জনসংখ্যা বেড়েছে। ফলে ফসলের উৎপাদন বাড়াতেই হবে। কিন্তু আমাদের রাজ্যের চাষিরা চাষের পুরনো পদ্ধতির উপরই অনেক ক্ষেত্রে নির্ভরশীল। ফার্মার্স ক্লাবের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে অত্যাধুনিক বীজ, সার ও আবহাওয়া উপযোগী চাষের বিভিন্ন পদ্ধতি প্রতিটি চাষির কাছে পৌঁছে দেওয়া দরকার।”
নাবার্ড মনোনীত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাঁঠালিয়া সৃজনী ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি পরিতোষ পাল বলেন, “টীকাকরণ, পোলিও’র মত সামাজিক প্রকল্পগুলিকে ফার্মার্স ক্লাবগুলির সঙ্গে জুড়ে কাজ শুরু হওয়ায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবা অনেকটাই এগিয়েছে।” ফরাক্কার বিডিও সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “প্রসূতি মায়েদের বাড়ি থেকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা, ওষুধ বিনা পয়সায় পাওয়া এবং প্রসবের পর বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিনা পয়সায় সরকারি গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সে সুযোগের কথা জানেন না গ্রামবাসীরা। ফার্মারস ক্লাব তৈরি হলে অনেক কাজ হবে।” রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা বলেন, “ফার্মার্স ক্লাব জেলায় যত বেশি গড়ে ওঠে ততই ভাল।”
কি বলছেন নতুন ফার্মার্স ক্লাবের সদস্যরা? লালগোলার বাখরপুর নেতাজী ফার্মার্স ক্লাবের কো-অর্ডিনেটর সানাউল্লা বলেন, “ক্লাবের মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো গিয়েছে।’’ কান্দির সিজগ্রাম অম্বেডকর ফার্মার্স ক্লাবের সভাপতি ওয়ারফ আলি বলেন, “ক্লাব গড়ে সব ক্ষেত্রে এগিয়েছে গ্রাম। হাসপাতালে প্রসবের হার বাড়িয়েছি আমরা।’’



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.