|
|
|
|
একশো দিনের কাজে মজুরি না পেয়ে পঞ্চায়েতে তালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাসদরে যখন একশো দিনের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করছেন রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্তারা, তখনই জেলার আর এক প্রান্তে এই প্রকল্পে মজুরি না পাওয়ার অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝোলালেন শ্রমিকেরা। শুক্রবার দুপুরে দাসপুর-২ ব্লকের বেনাই পঞ্চায়েতে ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল পরিচালিত দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে তৃণমূল পরিচালিত বেনাই পঞ্চায়েতের বেনাই মৌজায় একটি পুকুর খনন হয়েছিল। সুকুমার রঙ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার জায়গায় পুকুরটি খনন হয়েছিল। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার পর জানা যায়, ওই জমিটি সুকুমারবাবুর নয়, সেচ দফতরের। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরই জটিলতা শুরু হয়। এ দিকে, ওই পুকুর খননের জন্য প্রায় তিনশোর বেশি শ্রম দিবস তৈরি হয়েছিল। টাকার পরিমাণও কম নয়, প্রায় আট লক্ষ। জটিলতার জেরে মজুরদের সেই টাকা দেওয়া হয়নি এখনও। বেনাই গ্রামের সুনীল পাত্র, তপন তাল, সন্ধ্যা বিজলী, রাধারানি পণ্ডিতেরা বলেন, “আমরা এক বছর আগে খেটেছি। এখনও টাকা পাইনি। দিন আনি দিন খাই সংসার। আমাদের কাছে ওই টাকার কী মূল্য, তা সরকারি বাবুরা বুঝতে পারছেন না।”
বিডিও-র বক্তব্য, “তদন্ত এখনও চলছে। ফলে মজুরির টাকা বিলি করা যাচ্ছে না। জেলাশাসক কিছু তথ্য জানতে চেয়েছেন। তা পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। আশা করছি নতুন বছরের শুরুতে শ্রমিকেরা সমস্ত টাকা পেয়ে যাবেন।”
তৃণমূল পরিচালিত ওই পঞ্চায়েত সমি তির সভাপতি অরুণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “শ্রমিকেরা টাকা না পেলে বিক্ষোভ দেখাবেই। আমদেরই ত্রুটি। শ্রমিকেরা যাতে দ্রুত টাকা পান, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল সকলেই। শ্রমিকরা অবশ্য সহানুভূতি নয়, প্রাপ্য মজুরিটুকু চান শুধু। |
|
|
|
|
|