|
|
|
|
পূর্ণাঙ্গ পুরবোর্ড হয়নি এখনও, ব্যাহত পরিষেবা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুরপ্রধান নির্বাচন হয়ে গিয়েছে দশ দিন হল। কিন্তু এখনও উপ-পুরপ্রধান বা পুর পারিষদ নির্বাচন করতে পারল না তৃণমূল। ফলে পুরসভার কাজের দায়িত্ব বণ্টন না হওয়ায় মেদিনীপুর শহরের উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজকর্ম চলছে অত্যন্ত ঢিমেতালে।
পুরভোটে প্রত্যাশিত ফল না হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তা সত্ত্বেও কেন শাসক দল তৃণমূল পুরসভার বাকি পদে অন্যদের বসাতে দেরি করছে। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, কংগ্রেস থেকে কাউন্সিলর ভাঙানোর চেষ্টায় রয়েছে তৃণমূল। আর তাতে সফল হতে গেলে পদের লোভ দেখাতে হবে। নতুবা তা সম্ভব নয়। তাই পূর্ণাঙ্গ পুরবোর্ড গঠনে দেরি করছে তৃণমূল।
শহরের এক তৃণমূল নেতার কথায়, “অন্য দল থেকে অন্তত ২ জন কাউন্সিলর না নিয়ে আসা পর্যন্ত আমরা ততটা শক্তিশালী হতে পারছি না। যে কারণে সম্পূর্ণ বোর্ড গঠন করা যাচ্ছে না। দলে আর একটু ভারী না হলে, যে কোনও সময় বোর্ড মিটিংয়ে ঝামেলা হতে পারে।”
তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ। জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ সরাসরি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে বলেন, “যদি তেমন কিছু ঘটে তাহলে সকলেই জানতে পারবেন।” আর কংগ্রেস জেলা সহ সভাপতি তথা পুরসভার কাউন্সিলর শম্ভু চট্টোপাধ্যায়ের ধারণা, “আমাদের দল থেকে কেউ অন্য কোথাও যাবেন না বলেই বিশ্বাস করি।”
উল্লেখ্য, পুরসভার বিভিন্ন পরিষেবার মধ্যে আবর্জনা ফেলা, রাস্তা সংস্কার, রাস্তায় আলো দেওয়া, পানীয় জল-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে। আর এই সমস্ত বিষয় দেখার জন্য পুরপ্রধান, উপ-পুরপ্রধানই নয়, জল-জঞ্জাল-পূর্ত প্রভৃতি বিষয়ে পুর-পারিষদ থাকেন। তাঁদের সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে নেন পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধানও। তারপর নিজেদের মধ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা করে তা বোর্ড মিটিংয়ে পাশ করাতে হয়। মেদিনীপুরে পুরবোর্ড গঠন সম্পূর্ণ না হওয়ায় এই সমস্ত কাজের পরিকল্পনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এমনিতেই পুর নির্বাচনের আগে দীর্ঘ সময় প্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন মহকুমাশাসক। সেই সময়ও পুর পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। তাই শহরবাসীর দাবি, দ্রুত পূর্ণাঙ্গ পুরবোর্ড গঠন করে উন্নয়নের কাজ শুরু হোক।
সদ্য পুরপ্রধান পদে আসীন প্রণব বসুর অবশ্য দাবি, “কাজ শুরু হয়েছে।” শহরের বিভিন্ন জায়গায় পথবাতির পাশাপাশি দু’টি জায়গায় গাছ লাগানো, আলো দেওয়া, ফোয়ারা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একটি এলআইসি চকে বিদ্যাসাগর মূর্তির চারদিকে, অন্যটি হল কেরানিতলা থেকে স্টেশন যাওয়ার রাস্তায়যেখানে উড়ালপুল শুরু হয়েছে, ঠিক তার কাছে। পুরপ্রধান প্রণব বসুর কথায়, “অল্পদিন হল বসেছি। প্রথমেই সৌন্দর্যায়নের উপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব কাজই হবে।”
|
|
|
|
|
|