উন্নয়নের কাজে গতি আনতে মাঝে-মধ্যেই রাজ্য প্রশাসনের আমলা-সচিবদের নিয়ে জেলা সফর করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরামর্শমতোই এ বার সক্রিয় হয়েছে হুগলি জেলা প্রশাসনও। প্রশাসনের কর্তারা সরাসরি হাজির হচ্ছেন পঞ্চায়েত ও ব্লক স্তরে। বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে জেলায় মূলত ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে গতি আনতে স্থানীয় স্তরে বিশেষ সভা এবং কাজের রূপরেখা তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। সেই কাজ ক্যালেন্ডার ধরে শেষ করার দিন ক্ষণও বেঁধে দিচ্ছেন হুগলির জেলাশাসক মনমীত নন্দা।
জেলাশাসকের উপস্থিতিতে দিন কয়েক আগে আরামবাগ ব্লক এবং গোঘাটের দু’টি ব্লকে ওই সভা হয়। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প রূপায়ণের সঙ্গে যুক্ত পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরের কর্মীরা ওই সভায় সামিল হন। এ ভাবেই প্রতিটি ব্লকে পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। জেলাশাসক মনমীত নন্দা বলেন, “আমি নতুন কিছু করছি না। মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেই কাজগুলিকে রূপায়ণের চেষ্টা করছি সব স্তরের সরকারি এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে।”রাজ্যে ক্ষমতায় আসার কিছু দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে বারে বারেই প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক শুরু করেন। তাঁর কথায়, “মহাকরণে বসে কাজ নয়, মহাকরণকে নামিয়ে আনা হয়েছে জেলা স্তরের মানুষের কাছে।” হুগলি জেলা প্রশাসনের কর্তারাও অনুধাবন করেন, প্রত্যন্ত ব্লকগুলিতে সরাসরি প্রশাসনের বার্তা পৌঁছে দিতে না পারলে কাজে কাঙ্ক্ষিত গতি আসবে না। মানুষের ক্ষোভ বাড়বে।
জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “জেলা জুড়ে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে, তা মূলত ১০০ দিনের কাজের আওতাতেই করা হচ্ছে।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এবং উষ্ণায়নের বিপদ মাথায় রেখে মূলত পঞ্চায়েত এবং তৎসংলগ্ন এলাকাগুলিকে সবুজায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলার ২০৭টি পঞ্চায়েতেই তাই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে একটি করে নার্সারি করা হবে। ইতিমধ্যেই ৫৫টির কাজ শুরু হয়েছে। জায়গা চিহ্নিত হয়েছে বাকিগুলির ক্ষেত্রে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পঞ্চায়েত দফতর চত্বরেই নার্সারি তৈরি করা হবে। যাতে সরাসরি সেখান থেকে পঞ্চায়েতের কর্তারা কাজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
ইতিমধ্যেই বৈঁচিতে কেন্দ্রীয় একটি নার্সারি গড়ে তোলা হয়েছে। যেখানে ইতিমধ্যেই এক লক্ষেরও বেশি গাছের চারা তৈরি হয়েছে। মেহগনি, শিরীষ, শাল, সেগুনের মতো মূল্যবান গাছ রয়েছে। পাশাপাশি, ফলের চারাও তৈরি করা হয়েছে। ঐতিহ্যগত দিক দিয়ে পোলবা থেকে বলাগড় পর্যন্ত মূলত আমের ফলন ভাল হয়। ওই এলাকাগুলির কথা মাথায় রেখে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এমনকী অসম লিঙ্ক রোডের দু’পাশে ইতিমধ্যে আমের চারা লাগানো হয়েছে। প্রশাসনিক স্তরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, যে সমস্ত পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি ভবনে সীমানা-প্রাচীর নেই, সেখানে গাছ দিয়ে প্রাচীর গড়া হবে। সেই কাজও শুরু হয়েছে।
গ্রন্থাগারের প্রতিষ্ঠা উৎসব। বাগনানের পল্লিভারতী গ্রন্থাগারের ১২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মুগকল্যাণ গ্রামে দু’দিন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক পিনাকীরঞ্জন পানিগ্রাহী-সহ অনেকে। |