|
|
|
|
বড়দিনের আগের রাতে তরুণীকে দু’বার ধর্ষণ পুদুচেরিতে
সংবাদ সংস্থা • কারাইকাল
২৭ ডিসেম্বর |
সে বারের মতো এটাও একটা ডিসেম্বরের রাত। নির্ভয়ার মতোই বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে ছিলেন বছর কুড়ির তরুণী। ধর্ষিতা হতে হল তাঁকে। এক বার নয়, দু -দু’বার। একই রাতে। বড়দিনের আগের রাতে পুদুচেরি যখন উৎসবে মজে, শহর থেকে বেশ দূরে কারাইকলে ঘটেছে এ হেন বীভৎস ঘটনা। ফিরিয়ে এনেছে গত বছর ১৬ ডিসেম্বরের দিল্লি গণধর্ষণের স্মৃতি। নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে, এত প্রতিবাদ-আন্দোলন-বিক্ষোভ, কড়া আইন, মৃত্যুদণ্ড কোনও কিছুই কি প্রভাব ফেলছে না অপরাধী মনে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী তামিলনাড়ুর একটি কম্পিউটার সংস্থায় চাকরি করেন। গত মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর রাতে তিনি এক বান্ধবীর সঙ্গে কারাইকালে ঘুরতে বেরোন। সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল ওই বান্ধবীর প্রেমিকেরও। পরিকল্পনা মাফিক তিনিও এসে যোগ দেন দুই তরুণীর সঙ্গে। এর বেশ কিছু ক্ষণ পরে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন তরুণীর বান্ধবী। তখন ছেলেটির এক বন্ধুর বাড়িতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। বান্ধবীকে সেখানে বিশ্রাম নিতে বলে তরুণী একাই ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, তার পরই তিন জনের একটি দল তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। একটি সংবাদ সংস্থার দাবি, ওই তিনটি লোক স্থানীয় একটি হস্টেলে থাকে। তারা সেখানকার একটি ঘরে নিয়ে গিয়েই ধর্ষণ করেছিল মেয়েটিকে।
নৃশংসতার শেষ নয় এখানেই। সূত্রের খবর, মেয়েটির উপর অত্যাচার চালানোর পর অভিযুক্তরা ছেড়ে দেয় তাঁকে। কোনও মতে বেরিয়ে আসেন সেখান থেকে। সবার আগে ফোনে যোগাযোগ করেন তাঁর সেই বান্ধবীর সঙ্গে। মেয়েটিকে সাহায্য করতে তাঁরাও সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান। ভাগ্যক্রমে খুঁজেও পান মেয়েটিকে। কিন্তু রেহাই মিলল না এ বারও।
পুলিশ জানায়, তাঁরা যখন বান্ধবীকে একটা নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন, সে সময় আক্রমণ করে সাত জনের অন্য একটি দল। লোকগুলি বাকি দু’জনকে মারধর করে ফের ওই তরুণীকেই তুলে নিয়ে যায় একটি পরিত্যক্ত জায়গায় এবং ধর্ষণ করে। তবে দুষ্কৃতীদের মারধরে দমেননি মেয়েটির বান্ধবী ও প্রেমিক। খুঁজে খুঁজে ওই পরিত্যক্ত জায়গাটিতে চলে যান তাঁরা। এ বারে তাঁরা স্থানীয় লোকজন জড়ো করে সঙ্গে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই হাতাহাতি লেগে যায় দু’দলে। বন্ধুদের মারধর করা হচ্ছে খবর পেয়ে ছুটে যায় অভিযুক্তদের পরিচিত কিছু লোক। তাতে গণ্ডগোল আরও বড়সড় আকার নেয়। স্থানীয় লোকজনই এ বার পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে হাতেনাতে ধরে ফেলে অভিযুক্তদের তিন জনকে। পরে আরও দশ জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। বাকিরা এখনও অধরা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি। কারাইকালের এসপি মনিকা ভরদ্বাজ বলেন, মেয়েটির বয়ান নেওয়া হয়েছে। তাঁর কথার সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। নিজের এলাকায় এ ধরনের ঘটনা নিয়ে কী ভাবছেন স্থানীয় পুরপিতা? প্রশ্ন করেছিল একটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক। জবাবে তিনি বলেন, অল্পবয়সী ছেলেরা হতাশায় ভুগছে। তারই জেরে এ ধরনের ঘটনা। |
|
|
|
|
|