ফুটপাথেই সার দিয়ে দাঁড়ানো বাইক এবং স্কুটার। কোথাও বা রাস্তার এক ধারে এমন ভাবে সেগুলি পার্ক করা রয়েছে যে পথচারীরা হাঁটতেই পারেছেন না। শুধু তাই নয়, বাস অথবা ট্রাম ধরতে গেলে ফুটপাথের পরিবর্তে রাস্তায় নেমে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ ছবি খিদিরপুরের কাছেই সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডের। আর এই বেআইনি পার্কিং-এর ফলে যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। সমস্যা সমাধানে পুরসভা ও পুলিশ-প্রশাসনের মধ্যে চলছে চাপান-উতোর।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ফুটপাথ বা রাস্তা আটকে কোথাও কোনও পার্কিংয়ের জায়গা দেওয়া হয় না।
যে কোনও এলাকায় পুলিশ পুরসভার সঙ্গে সমীক্ষা করেই পার্কিংয়ের জায়গা ঠিক করে।
সেখানেই গাড়ি পার্ক করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে পুরসভা ওই ধরনের পার্কিংয়ে কোনও অনুমতি দিয়েছে কি না তা পুরসভাকেই দেখতে হবে। যদি বিধি না মেনে পার্কিং হয় সে ক্ষেত্রে পুলিশকে জানালে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য পুলিশ নিজে থেকেই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েছে। |
অন্য দিকে, কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (পার্কিং) দেবাশিস কুমার বলেন, “পুলিশ যে সমস্ত জায়গায় পার্কিং-এর অনুমতি দেয় সেখানে পার্কিংয়ের জন্য পুরসভা দরপত্র ডেকে কোনও সংস্থাকে পার্কিং দেখাশোনার বরাত দেয়। নির্দিষ্ট ভাবে কোথায় পার্কিং রয়েছে তা পুলিশের জানা থাকার কথা। পুলিশ মনে করলে কোনও নির্দিষ্ট জায়গা থেকে পার্কিং তুলে দিতে পারে অথবা পুরসভাকে পার্কিং সরানোর ব্যাপারে জনাতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।”
সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডে নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়াও অনেক জায়গায় পার্কিং রয়েছে। বন্দর এলাকায় বড় লরি বা ম্যাটাডোর প্রায় সব সময় ঢোকে। এই সমস্ত বড় গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও নিয়ম ভাঙা হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
এক বাসিন্দা কবীর মণ্ডল বলেন, “যেখানে-সেখানে পার্কিংয়ের জেরে এই এলাকায় আগে পথ-দুর্ঘটনা লোগেই থাকত। এখন কিছুটা কমলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।”
কলকাতা পুলিশের ডি সি ট্র্যাফিক দিলীপ আদক বলেন, “সম্প্রতি মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলে বেআইনি পার্কিং রুখতে অভিযান চালানো হয়েছে। খিদিরপুর অঞ্চলেও শুরু হয়েছে। অভিযানের পর কিছু দিন সব ঠিক থাকে। তার পরে আবার একই অবস্থা। বার বার এই অভিযান দরকার। পুলিশ বিষয়টি দেখছে।” তবে, বেআইনি পার্কিংয়ের ব্যাপারে যতটা পুলিশি নজরদারি দরকার ততটা নেই কেন? দিলীপবাবু জানান, পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। তাই পুরসভাকেও বেআইনি পার্কিং রুখতে পুলিশের অভিযানে সামিল হতে অনুরোধ করা হয়েছে। |