নতুন বছরে জানুয়ারির শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির গোড়ার দিক পর্যন্ত ব্রিগেডে ধুন্ধুমার! তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের শাসক দলের ব্রিগেড সমাবেশ ৩০ জানুয়ারি। বিরোধী বামফ্রন্টের ব্রিগেড সমাবেশ ৯ ফেব্রুয়ারি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যেখানে প্রধান বক্তা।
তারই মাঝখানে ৫ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে সভা করতে আসছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী তথা লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী।
কয়েক মাস আগেই ঠিক হয়েছিল, লোকসভা ভোটের প্রচারে শহরে এসে ব্রিগেডে সভা করবেন মোদী। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ শুক্রবার জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত মোদী ব্রিগেডের সভার জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি সময় দেবেন বলে বার্তা এসেছে তাঁদের কাছে। তার পরেও আর এক বার লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদীর এ রাজ্যে আসার কথা। সে বার তাঁর যাওয়ার কথা উত্তরবঙ্গে। তবে তার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। ব্রিগেডে মোদীর সঙ্গে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহ, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্যের সংগঠনের পর্যবেক্ষক বরুণ গাঁধীরও থাকার কথা।
লোকসভা ভোটের প্রচারে এ রাজ্যে অন্তত ১০০টি সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। মোদীর সভা তারই অন্যতম। তার আগে জানুয়ারিতেই বেঙ্কাইয়া নায়ডু, মুরলীমনোহর জোশী, শাহনওয়াজ হুসেনদের নেতৃত্বেও সভা হবে। রাহুলবাবুর বক্তব্য, “ব্রিগেডে অন্যান্য দলের সভায় সেই দলগুলির কর্মীরা আসেন। কিন্তু মোদীজি’র ব্রিগেড সভায় বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ আসবেন বলে আশা করছি। ওই সভা এ রাজ্যেও দলের পক্ষে মেরুকরণে সহায়ক হবে।”
সাম্প্রতিক কালে মোদী গোটা দেশে প্রচারের ঝড় তুলেছেন। বিজেপি শাসিত রাজ্য তো বটেই, অ-বিজেপি রাজ্যেও তাঁর সমাবেশে ভিড় উপচে পড়ছে। সেই প্রেক্ষিতে মোদীর ব্রিগেড ভরানো এখন রাজ্য বিজেপি-র কাছে চ্যালেঞ্জ! এখন এ রাজ্যে বিজেপি-র কোনও বিধায়ক নেই। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সহায়তায় দার্জিলিং থেকে একমাত্র সাংসদ ভিন্ রাজ্যের নেতা যশোবন্ত সিংহ। তবুও মোদীর টানেই ব্রিগেড ভরে যাবে বলে বিজেপি আশা করছে।
তৃণমূল এবং বামেদের পিঠোপিঠি সমাবেশে ব্রিগেড ভরাতে এ বার অভিনব কৌশলও নিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। এ রাজ্যে বিজেপি-র যত ব্যক্তি সদস্য আছেন, তাঁদের প্রত্যেককে বাড়ির সকলকে সঙ্গে নিয়ে সপরিবার আসতে বলা হয়েছে মোদীর সভায়! পাশাপাশি, তরুণ প্রজন্মের ভোটার, বিশেষত যাঁরা সদ্য ভোটার হয়েছেন, তাঁদের মোদীর সভায় টানতে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি। তাঁদের বলা হচ্ছে, মোদীর ব্রিগেড-সভায় আসতে চাইলে অনলাইনে আসন বুক করার সুযোগ আছে। মোদীর সভায় দলীয় কর্মীদের আনা হবে কী ভাবে, তার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা কী ভাবে হবে, তা নিয়ে তড়িঘড়ি বৈঠকও সেরে ফেলেছে রাজ্য বিজেপি। প্রকাশ্যে ঘোষণা না-করলেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং আরএসএস-ও মোদীর সভায় ভিড় বাড়াতে সচেষ্ট হয়েছে। |