পঞ্চায়েত সদস্যকে খুনের অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাড়ুই |
স্বামীকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করল পুলিশ। ঘটনাটি পাড়ুই থানার মঙ্গলডিহি গ্রামের। নিহতের নাম মোজাম্মেল মোল্লা (৫০)। পুলিশ জানায়, নিহতের দেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। তবে পারিবারিক কারণে শ্বাসরোধ করে ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “নিহত মোজাম্মেল মোল্লার ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে এই খুন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
সম্প্রতি নির্বাচনে ইলামবাজার ব্লকের সব কটি পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয়ী হয়েছে। মঙ্গলডিহি পঞ্চায়েতের প্রধান আলিয়া বেগম ও ব্লক সভাপতি জাফারুল ইসলাম বলেন, “স্থানীয় সূত্রে যতটুকু জানতে পেরেছি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পারিবারিক ব্যাপার।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোজাম্মেল মোল্লা ইলামবাজার ব্লকের মঙ্গলডিহি পঞ্চায়তের তৃণমূল সদস্য। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা হবে। মঙ্গলডিহি গ্রামে ধান জমি পাহারা দিচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা শেখ রমজান ও শেখ জুলফিকার। হঠাত্ তাঁরা রাস্তার ধারে খসখস শব্দ শুনতে পান। গিয়ে দেখেন, পঞ্চায়েত সদস্যের নিথর দেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। নিহতের ভাই জিয়ারুল মোল্লার অভিযোগ, “বেশ কয়েকদিন ধরে বৌদি মেহেরুন্নেসা বেগমের সঙ্গে দাদার ঝামেলা চলছিল। দাদা একরকম আলাদাই থাকতেন। বনিবনা না হওয়ার কারণে, বৌদি দাদাকে খুন করিয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ।”
অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেহেরুন্নেসা বেগম। তাঁর দাবি, “স্বামী ওই দিন রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত ১১টা বা সাড়ে ১১টা নাগাদ কে বা কারা তাঁকে ফোন করেন। ওই ফোন পেয়ে তিনি বেরিয়ে যান। তার পর আর বাড়ি ফেরেননি। গভীর রাতে খারাপ খরবটা পাই।” |