|
|
|
|
ভাগ্নের গদিতে এ বার মামা,
বন দফতর রায় পরিবারেই
নমিতেশ ঘোষ ও অরিন্দম সাহা • কোচবিহার |
সম্পর্কে মামা। কিন্তু বয়সে ছোট বলে বাম জমানার বনমন্ত্রী অনন্ত রায় মাথাভাঙার তৃণমূল বিধায়ক বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে নাম ধরেই ডাকেন। বিনয়কৃষ্ণবাবুই এ বার পেলেন অনন্তবাবুর দফতর।
গত বিধানসভা নির্বাচনেই মুখোমুখি লড়েছিলেন দু’জনে। তৃণমূলের বিনয়বাবু পাঁচ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে দেন সিপিএমের অনন্তবাবুকে। অনন্তবাবুর কথায়, “সম্পর্কে মামা। তবে বয়সে ছোট বলে বিনয়কে আমি নাম ধরেই ডাকি। বিধায়ক হওয়ার পরেও শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম, এ বার মন্ত্রী হওয়ার জন্যও শুভেচ্ছা জানাই।”
বিনয়বাবুর পরিবারে বৃহস্পতিবার সারা দিনই দম ফেলার ফুরসৎ ছিল না। সেই ভোর থেকেই বাড়িতে সারাক্ষণ বহু লোক এসেছেন বিনয়বাবুকে শুভেচ্ছা জানাতে। বাড়ির কর্তা কলকাতায়। তাঁর স্ত্রী রাধারানিদেবীই অতিথি আপ্যায়ন করেছেন রসগোল্লা দিয়ে। |
শপথ নেওয়ার পরে বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। বৃহস্পতিবার রাজভবনে। —নিজস্ব চিত্র। |
আর সে কারণে বাড়িতে আর নিজেদের জন্য বেশি কিছু রান্না করতে পারেননি। স্রেফ মুসুর ডাল, বেগুনভাজা আর চারাপোনার ঝোল। খাওয়া সারতেও হয়েছে তাড়াতাড়ি করে। রাধারানিদেবী বলেন, “তবে খুবই ভাল লাগছে।” তাঁদের তিন কন্যার বড় কলেজ ছাত্রী সঙ্ঘমিত্রার বক্তব্য, “বাবা বাড়ি ফিরলে এক দিন ভাল খাওয়াদাওয়া হবে।” সারা দিন বাবার সঙ্গে তেমন ভাবে কথাবার্তাও হয়নি। বিনয়বাবু কলকাতা থেকে বলেন, “বিকেলে ফোনে একবার মেয়েদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বড় মেয়ের অভিমান হয়েছে। ও সঙ্গে আসতে চেয়েছিল। তাড়াহুড়োয় আনতে পারিনি।” রবিবারের পরে তিনি বাড়ি ফিরবেন বলে তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। বিনয়বাবুর মা চিত্রমণিদেবীকে নিয়ে পরিবারের সকলে বসে এ দিন টেলিভিশনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান দেখেছেন।
টেলিভিশন থেকে চোখ সরাননি অঞ্জলি রায়ও। অনন্তবাবুর মামাতো বোন অঞ্জলিদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বিনয়বাবুর ভাগ্নে বীরেন রায়ের। সেই সূত্রেই বিনয়বাবু ও অনন্তবাবুর মামা-ভাগ্নে সম্পর্ক। দুই পরিবারেরই বাড়ি কোচবিহারের খোলটা এলাকায়। অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক অনন্তবাবু অবশ্য এখন থাকেন কোচবিহার শহর লাগোয়া খাগড়াবাড়িতে।
পেশায় সম্পন্ন কৃষিজীবী বিনয়বাবু থাকেন মাথাভাঙার রুইডাঙায়। বীরেনবাবুরা খোলটাতেই থাকেন।
এই দম্পতিও ফোনে বিনয়বাবুর সঙ্গে কথা বলেছেন বিকেলে। অঞ্জলিদেবীর কথায়, “আমাদের পরিবারের দু’জন মন্ত্রী হলেন, এটাই আনন্দের। সব থেকে সুখের কথা, দু’জনেই খুব ভাল মানুষ। এতটুকু অহঙ্কার নেই।” ওই দম্পতির একমাত্র ছেলে কলেজ পড়ুয়া রুপক রায়ের কথায়, “দাদু মন্ত্রী হয়েছে জানার পরে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছি। ফিরলে দেখা করব। মামা যখন মন্ত্রী হন, তখন তাঁকেও অভিনন্দন জানিয়েছিলাম।”
|
পুরনো খবর: মামার হাতে যেতে পারে ভাগ্নের দফতর |
|
|
|
|
|