এ বার জামিনে ছাড়া পেলেন তপন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় জামিন পেয়েছিলেন আগেই। গোয়ালতোড় থানা এলাকার দু’টি মামলাতেও জামিন পান। সর্বশেষ চন্দ্রকোনার মামলাতেও মঙ্গলবার ঘাটাল আদালত থেকে জামিন মিলেছে। বৃহস্পতিবার তাই ঝাড়গ্রাম উপ -সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেলেন গড়বেতার সিপিএম নেতা তপন ঘোষ।
সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য তপনবাবু রাজ্যে পালাবদলের পরপরই ফেরার হন। দীর্ঘ দিন আত্মগোপন করে ছিলেন তিনি। মাস কয়েক আগে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় তমলুক জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তপনবাবুর নামে পশ্চিম মেদিনীপুরেও একাধিক মামলা ছিল। নন্দীগ্রাম মামলায় গ্রেফতারের পর এই মামলাগুলোতে একে -একে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঠিক একই ভাবে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলার পর এই মামলাগুলোতে জামিন পেয়ে যান তিনি। |
|
জেল থেকে বেরনোর পরে অভ্যর্থনা তপন ঘোষকে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ। |
গত মঙ্গলবার শেষ, চন্দ্রকোনা থানার মামলাটিতে ঘাটাল আদালত থেকে জামিন মেলে। তবে মেদিনীপুর আদালতের অন্য একটি মামলার ‘রিলিজ অর্ডার’ না আসায় ছাড়া যায়নি তাঁকে। ঝাড়গ্রামের বদলে মেদিনীপুর আদালতের ওই মামলার ‘রিলিজ অর্ডার’ চলে গিয়েছিল মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। এ দিন সেই কাগজপত্র এলে সকাল ১১টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম উপসংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান তপনবাবু। তাঁকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান কয়েকজন
সিপিএম নেতা -কর্মী। তপনবাবু বলেন, “আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। আগামী দিনেও করব।” মামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে বলেন, “যা বলার শ্রদ্ধেয় দীপকদা (দীপক সরকার ) বলবেন।”
তপনবাবু এ দিন গড়বেতায় বাড়ি ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করলেও আপাতত সেখানে যাবেন না বলেই সিপিএম সূত্রে খবর। এর আগে সুকুর আলি জামিন পেয়েছেন, সুশান্ত ঘোষ জামিন পেয়েছেনকেউই এখনও গড়বেতায় যাননি। সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছেন, গড়বেতায় গেলে ফের এই নেতাদের মামলায় জড়ানো হতে পারে। সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “ওঁরা গড়বেতায় ফিরবেন কি না, তা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা হবে।”
|
পুরনো খবর: নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় এ বার আত্মসমর্পণ তপনের |
|