ঠিকঠাক হিসেবে আর চার দিন পর চেন্নাইয়ে ডব্লিউ ভি রামনের তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে ম্যাচ। আর তার আগে জোড়া সমস্যার মুখোমুখি হয়ে পড়ল বাংলা।
এক দিকে, চোট পেয়ে তামিলনাড়ু ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন অলরাউন্ডার সায়নশেখর মণ্ডল। অন্য দিকে, সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠের আউটফিল্ড না শুকোনোয় শেষ পর্যন্ত ম্যাচ প্র্যাকটিস ছাড়াই চেন্নাই যেতে হচ্ছে সৌরাশিস লাহিড়ী-সহ চার বাংলা ক্রিকেটারকে। সিএবি কর্তাদের যোগাযোগের অভাবে।
সিএবি-র দু’দিনের লিগ ম্যাচ খেলতে গিয়ে আঙুলে চোট পান সায়নশেখর। তাঁকে ছাড়াই টিম চেন্নাইয়ের জন্য রওনা হয়ে যাচ্ছে শুক্রবার। সায়নশেখরের জায়গায় নেওয়া হয়েছে সিনিয়র ব্যাটসম্যান শুভময় দাসকে। যাঁকে উত্তরপ্রদেশ ম্যাচে বাদ দেওয়া হয়েছিল। উল্টো দিকে সৌরাশিস লাহিড়ী, শিবশঙ্কর পালদের বৃহস্পতিবারও মাঠে গিয়ে ফিরে আসতে হল। বুধবারই আউটফিল্ডের যা অবস্থা ছিল, তাতে ভবানীপুর বনাম টালিগঞ্জ ম্যাচ দ্বিতীয় দিনে হওয়াও চূড়ান্ত অনিশ্চিত ছিল। যা নিয়ে ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ প্রবল বিরক্ত। অভিযোগ, ম্যাচ নিয়ে কোনও নির্দেশ না থাকায় ইউরিয়া মেশানো জল মাঠে ঢেলে দেয় মালিরা। যা শুকোনো সম্ভব ছিল না। অভিযোগ মূলত, কিউরেটর প্রবীর মুখোপাধ্যায়ের দিকে। যিনি নাকি অজ্ঞাত ছিলেন সল্টলেক মাঠের ম্যাচের ব্যাপারে। যা নিয়ে সিএবি-র কর্তাদের কারও কারও পাল্টা বক্তব্য, তিনটে মাঠে ম্যাচের কথা বলা হয়েছিল কিউরেটরকে। একই চিঠিতে। ইডেন। দেশবন্ধু পার্ক। এবং সল্টলেক মাঠ। ইডেন আর দেশবন্ধু পার্কে ম্যাচ হয়েছে যখন, তখন সল্টলেক মাঠে ম্যাচ তাঁর অজ্ঞাত ছিল, ব্যাপারটা মানা যায় না। এ দিকে লিগের অন্যান্য ম্যাচে কালীঘাট (২৬৩-৪) ৬ উইকেটে জিতল কাস্টমসের বিরুদ্ধে (২৬২)। পাইকপাড়া স্পোর্টিং (৩৫৬) ৩ রানে জিতল দক্ষিণ কলিকাতা সংসদের বিরুদ্ধে (৩৫৩-৯)। আনন্দবাজার (২৪২) ৪ উইকেটে হারল ওয়াইএমসিএ-র কাছে। কুমোরটুলি (২১৬) ২৯ রানে জিতল ঐক্য সম্মিলনীর ( ১৮৭) বিরুদ্ধে। |