জ্বলে উঠলেন ওয়েন রুনি। আর তাতেই দু’গোলে পিছিয়ে থেকেও লিগ তালিকায় অনেক নীচে থাকা হাল সিটিকে ৩-২ গোলে হারাল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড।
বুধবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এ ভাবেই জয়ে ফিরল ম্যান ইউ। ১৩ মিনিটের মধ্যে দু’গোল হজম করে নিয়েছিল রুনির দল। এককালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ট্রেনি হিসেবে থাকা জেমস চেস্টারের ভলি হাল সিটির হয়ে খাতা খোলে। এর পর ডেভিড মেইলারের দুর্বল শট জনি ইভান্সের গায়ে লেগে ম্যাঞ্চেস্টারের গোলে ঢুকে পড়ে।
তবে জবাব দিতে খুব একটা বেশি সময় নেননি রুনিরা। ১৯ মিনিটেই ক্রিস স্মলিংয়ের হেড থেকে গোলে ব্যবধান কমান তাঁরা। সাত মিনিট পরে গোল এরিয়ার বাইরে থেকে অসাধারণ একটি ভলি থেকে এক অবিশ্বাস্য গোল করে ওয়েন রুনি বুঝিয়ে দেন, তিনি মোটেই ফুরিয়ে যাননি। এটাই ম্যাচের সেরা গোল। ৬৬ মিনিটে জয়সূচক গোলটি আসে। রাইট উইং থেকে অ্যাশলে ইয়ং-এর ক্রস হেড করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেন হাল-এর প্রথম গোলের নায়ক চেস্টার।
|
আত্মঘাতী গোল হাল সিটির। উল্লাস রুনির। ছবি: রয়টার্স। |
ম্যাচের শেষ দিকে হাল সিটি চাপ ক্রমশ বাড়িয়ে তুললেও ম্যান ইউ তা সামলে নেয়। তা করতে গিয়ে অবশ্য আন্তোনিও ভ্যালেন্সিয়াকে একেবারে শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখতে হয়। এই নিয়ে টানা তিনটি ম্যাচে জিতল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ফলে ১৮ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট পেয়ে তারা ছ’নম্বরে। অন্যদিকে হাল সিটি লিগ তালিকার ১২ নম্বরে।
রুনির পারফরম্যান্সে খুশি কোচ ডেভিড মোয়েস এ দিন এই দুর্দান্ত জয়ের পর বলেন, “রুনি সত্যিকারের টিম ম্যান হয়ে উঠেছে। ও শুধু যে নিজে ভাল খেলছে, তা নয়, টিমমেটদেরও ভাল খেলতে সাহায্য করছে।” কে বলবে, মরসুমের শুরুতে এই রুনিরই ম্যান ইউ ছাড়ার উপক্রম হয়েছিল। চলতি মরসুমে দলের হয়ে দশটি গোল করেছেন তিনি। গোল করা ছাড়াও আরও অনেক কিছু করছে রুনি, তা তো কোচের কথাতেই স্পষ্ট।
তবে রুনি-মোয়েসের আকাশ থেকে কালো মেঘ সরে যাওয়ার মতো ভাল খবরের মধ্যেও দুঃসংবাদ, দলের ডিফেন্ডার ফিল জোন্স হাঁটুর চোটের জন্য অন্তত দু’সপ্তাহ মাঠে চলে গেলেন। এ পর্যন্ত ম্যান ইউয়ের হয়ে ২২টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সম্প্রতি সেন্ট্রাল মিডফিল্ডেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন তিনি। ফলে এই জায়গাটা নিয়ে ফের চিন্তায় পড়ে গেলেন মোয়েস। |