মোক্ষম জবাব পেলেন স্যর জিওফ্রে বয়কট। বড় দিনের উপহারও হতে পারে!
একের পর এক ইনিংসে উইকেট ছুড়ে দেওয়ার জন্য কেভিন পিটারসেনকে ‘মাথামোটা’ আখ্যা দিয়েছিলেন বয়কট। তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়ার দাবিও তুলে ফেলেন প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। সেই বয়কটের টেস্ট রানের মাইলফলকই এ দিন টপকে গেলেন পিটারসেন। তাই বলে যে চতুর্থ টেস্টে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের দৈন্যদশা কাটল, তা বলা যাচ্ছে না। ইনিংসে পিটারসেনের পর সর্বোচ্চ রানের মালিক যিনি, সেই কারবেরির সংগ্রহ ৩৮। ধ্বংসস্তূপের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন যিনি, তিনি পিটারসেন। মেলবোর্নে প্রথম দিন বিকেলে ইংল্যান্ড ২২৬-৬। কেপি অপরাজিত ৬৭।
টেস্ট রানে ইংল্যান্ডের ‘বিত্তশালী’ ব্যাটসম্যানদের তালিকায় চার নম্বরে উঠে আসা কেপি এ দিন বয়কটের ৮১১৪ রানের মাইলস্টোন পেরনোর সময় এমসিজি-র বিশ্বরেকর্ড গড়া দর্শকের (৯১,০৯২) গ্যালারি থেকে যতটা হাততালি পেলেন, সে রকমটা সম্ভবত কোনও ইংরেজ ক্রিকেটার এই সফরে পাননি। সিরিজের সবচেয়ে সেরা হাততালিটা না হয় অর্জন করলেন, কিন্তু সিরিজে দলের প্রথম তিনশোর ইনিংসটা কি গড়ে দেখাতে পারবেন কেপি? ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মহলে এখন এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। |
অস্ট্রেলীয় পেস আক্রমণ সামলেও বেসামাল পিটারসেন।
মেলবোর্নে মাছি গিলে ফেলে কেপি। ছবি: রয়টার্স। |
এর উত্তর দিতে গিয়ে বয়কট একটুও না মচকে বিবিসি-র ‘টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল’-এর সেটে বসে বললেন, “নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগা ইংল্যান্ডকে বাঁচানোর জন্য দারুন কার্যকর ইনিংস। কিন্তু মনে রাখবেন, দু’বার জীবন পাওয়ার পর এই জায়গায় এল কেপি। কালও এমন ব্যাটিং করে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে হবে ওকে।” অর্থাৎ আরও একটা কড়া চ্যালেঞ্জ বয়কট ছুড়ে দিলেন ইংরেজ ব্যাটসম্যানের দিকে। শুক্রবার এই চ্যালেঞ্জটা কেপি নিতে পারবেন কি না, সেটাই দেখার। এমনিতেই বয়কট এখন ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা শুরু করেছেন। এ দিন দ্বিতীয় স্লিপে ক্লার্কের হাতে কুকের দেওয়া ক্যাচ দেখে বয়কট মন্তব্য করলেন, “আমার মা যেমন কাপড় কেচে দড়িতে শুকোতে দিতেন, এই শটটা অনেকটা সে রকমই।” ইংল্যান্ড ফের আড়াইশোর মধ্যে গুটিয়ে গেলে তিনি আর কী কী বলবেন, কে জানে।
একবার ৬-এ এবং আর একবার ৪১-এ জীবন পাওয়ার পর ইংল্যান্ডকে আড়াইশোর দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া সতীর্থকে নিয়ে ইয়ান বেলের আশা, “কাল সকালে কেভ ঘণ্টা দুয়েক টিকে যেতে পারলে দেখবেন, ছবিটা পাল্টে যাবে। আশা করি, আমরা তিনশো পার করে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেলে দিতে পারব।” হ্যারিস-জনসনরা তা হতে দিলে হয়। পরিসংখ্যান বলছে, এই সিরিজে মিচেল জনসনের ২৫টির মধ্যে ১১টি শিকারই আট থেকে এগারো নম্বর ব্যাটসম্যান। তাও আবার গড়ে ৩.৮৮ রান অন্তর। এ দিনও ইংল্যান্ডের ছয় ও সাত নম্বর ব্যাটসম্যানকে ফেরান তিনি।
বক্সিং ডে-র সকালে টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠিয়ে ছুটির মেজাজে থাকা রেকর্ড ৯১ হাজার মানুষকে অবশ্য হতাশই করেন মাইকেল ক্লার্ক। ইংল্যান্ডের শ্লথ গতির ব্যাটিং টেস্টের রেকর্ড সংখ্যক দর্শককে ‘বোর’ করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। |