ফুলেশ্বর বাংলো |
|
বিশেষত্ব: নদীর ধারে মনোরম পরিবেশ। ফুলের বাগান এবং লন। সেচ দফতরের বাংলো।
যোগাযোগের মাধ্যম: ট্রেনপথে হাওড়ার ফুলেশ্বর স্টেশন। নেমে পায়ে হেঁটে ২০ মিনিট। বাস রুট, মুম্বই রোডে উলুবেড়িয়ার মনসাতলা স্টপেজ।
সমস্যা: লেভেল ক্রসিংয়ের জন্য যানজট। ঘিঞ্জি পরিবেশ দিয়ে যেতে হয় স্পটে। গাড়ি নিয়ে যাতায়াতে সমস্যা। বাংলো ছাড়া বাইরে শৌচাগার নেই।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: উলুবেড়িয়া পুরসভার পিডব্লুডির চেয়ারম্যান শেখ সেলিম বলেন, “সমস্যা মেটাতে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেল লাইনের ধার বরাবর যে রাস্তা বাংলোয় গিয়ে মিশেছে, সেই রাস্তাও রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মেরামত করা হবে।” |
|
গড়চুমুক |
|
বিশেষত্ব: প্রচুর পরিমাণে হরিণ, ময়ূর ও পাখি। দামোদর ও ভাগীরথীর সংযোগস্থলে মনোরম পরিবেশ। রয়েছে বিরাট বাগান।
যোগাযোগের মাধ্যম: উলুবেড়িয়া শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে গড়চুমুক আটান্ন গেট স্টপেজ। গড়চুমুকের বাসে যাওয়া যায়। গাদিয়াড়া-ধর্মতলা বাসেও যাওয়া যায়। কলকাতা থেকে দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার।
সমস্যা: শৌচাগার। পানীয় জল। গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মানসকুমার বসু বলেন, “পানীয় জলের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত রয়েছে। রয়েছে মহিলা শৌচাগার। পুরুষদের শৌচাগারের জন্য টেন্ডার হয়েছে। জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু হবে। সম্প্রতি পার্কিং প্লেস খুলে দেওয়া হয়েছে। শ’দেড়েক গাড়ি থাকতে পারবে।” |
|
মহিষরেখা সেচবাংলো |
|
বিশেষত্ব: দামোদর নদীর চরে মনোরম পরিবেশ। রয়েছে সেচ দফতরের বাংলো। বাংলোর ভেতরে রয়েছে সুন্দর ফুলের বাগান।
যোগাযোগের মাধ্যম: হাওড়া থেকে কুলগাছিয়া স্টেশনে নেমে অটোয় বা ট্রেকারে মহিষরেখা সেতুর নীচে। জায়গাটি সেচ দফতরের অধীনে।
সমস্যা: পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: মহিষরেখা সেচ দফতরের আধিকারিক চিররঞ্জন দত্ত বলেন, “বাংলোয় সমস্ত ব্যবস্থা আছে। কিন্তু দামোদরের চরে যাঁরা পিকনিক করতে আসেন, তাঁদের জন্য অস্থায়ী কিছু করা যায় কি না, চিন্তাভাবনা করে দেখা হবে।” |
|
গাদিয়াড়া |
|
বিশেষত্ব: নদীর ধারে মনোরম পরিবেশ। রয়েছে বেশ কিছু গেস্ট হাউস।
যোগাযোগের মাধ্যম: গাদিয়াড়া থেকে ধর্মতলা সরকারি বাস রয়েছে। ট্রেনে বাগনানে নেমে বাসে যেতে হবে শ্যামপুর। অটো, ট্রেকার এবং কিছু বেসরকারি বাস আছে সেখানে। কলকাতা থেকে দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার।
সমস্যা: নদীর ধার বরাবর রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। মূল পিকনিক স্পটে জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: হাওড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মানসকুমার বসু বলেন, “রাস্তার জন্য রাজ্য পর্যটন বিভাগের থেকে ২৭ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।” রাজ্য পর্যটন দফতর জানায়, মূল পিকনিক স্পটে জল ও শৌচাগারের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।
|
|
নাউপালা পিকনিক স্পট |
|
বিশেষত্ব: রূপনারায়ণের চরে পলিমাটির উপরে মনোরম পরিবেশ। রয়েছে একটি বাংলো। বাংলোর ভেতরে রয়েছে সুন্দর ফুলের বাগান।
যোগাযোগের মাধ্যম: হাওড়া থেকে ট্রেনে দেউলটি স্টেশনে নেমে ট্রেকার বা অটোয় কোলাঘাট ব্রিজের পাশে। কোলাঘাট স্টেশনে নেমেও আসা যায়। জায়গাটি পিডব্লুডি-র অধীনে।
সমস্যা: পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। এ জন্য সমস্যায় পড়তে হয় বহু পর্যটককে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: নাউপালা পিডব্লুডি বাংলো দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রূপনারায়ণ নদীর চরে পিকনিক করতে আসা পর্যটকদের জন্য পানীয় জল ও শৌচাগারের ব্যবস্থা চিন্তাভাবনা করে দেখা হবে।
|
|
(তথ্য সহায়তা: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়, অভীক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত জানা) |