বালির ট্রাক্টর আটকানোর জেরে ভূমি সংস্কার দফতরের দুই আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীদের মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পাত্রসায়রের ওই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত তৃণমূলের স্থানীয় উপপ্রধান-সহ দু’জন এখনও অধরা পুলিশের কাছে।
ধৃত কাজী সইফুদ্দিনের বাড়ি পাত্রসায়রের সেকেন্দারচক ও শাহআলম মিদ্যার বাড়ি কাঁটাদিঘি গ্রামে। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকেই তাদের ধরা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। বুধবার ধৃতদের বিষ্ণুপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে পুলিশের কাছে কেস ডায়েরি তলব করে আগামী ৩০ ডিসেম্বর টিআই প্যারেডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, “ওই ঘটনায় দু’জনকে ধরা হয়েছে। ধৃতেরা ওই ঘটনায় জড়িত বলে প্রাথমিক ভাবে জানার পরেই তাদের ধরা হয়। বাকি অভিযুক্তদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।”
সোমবার সকালে পাত্রসায়রের দত্তবাড়ি গ্রামের কাছে বাঁকুড়া-বর্ধমান রাস্তায় বালিভর্তি ট্রাক্টর আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হন ভূমি সংস্কার দফতরের দুই আধিকারিক ও দুই পুলিশকর্মী। ওই ঘটনায় স্থানীয় বেলুট-রসুলপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের বকুল মিদ্যা ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা ডালিম মিদ্যা-সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতা তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ধৃতদের তরফে আইনজীবী মহাদেব দে দাবি করেন, “এফআইআর-এ তাঁদের নাম না থাকা সত্ত্বেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁরা কোনওভাবেই জড়িত নন।” |