দিদিকে খুন করার অভিযোগে ধৃত নাবালক ভাইয়ের একদিনের পুলিশ হেফাজত হল। বুধবার রঘুনাথপুর আদালত এই নির্দেশ দেয়। বয়স সংক্রান্ত নথি দেখাতে না পারায় বছর পনেরোর ওই কিশোরকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে না পাঠিয়ে রঘুনাথপুর আদালতেই পাঠিয়েছিল পুলিশ। রঘুনাথপুরের এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধৃত যে এখনও নাবালক সেই সংক্রান্ত প্রামান্য নথি দিতে পারেনি তার পরিবার। সে কারনেই তাকে রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। তার আইনজীবী বয়স সংক্রান্ত নথি দিলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” পাড়া থানার তেঁতুলহেটি গ্রামে সোমবার রাতে বাড়িতেই দিদি রীনা মাহাতোকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আত্মহত্যার ঘটনা বলে চালানোর অভিযোগে পুলিশ ওই নাবালককে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ দাবি করেছিল, দিদির সঙ্গে এক যুবকের ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক মানতে না পেরে ওই কিশোর দিদিকে খুন করেছে। তবে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ ওই যুবককে চিহ্নিত করতে পারেনি। পুলিশ দাবি করেছে, জেরায় ধৃত তাদের জানিয়েছে, দিদি স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে ঘনঘন ফোনে কথা বলত। সে দিদিকে বারণ করলেও শোনেনি। এ নিয়ে দু’জনের বচসা হয়। সোমবার রাতে এমনই বচসা চলার সময় রাগের মাথায় দিদিকে খুন করে বসে সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে ‘কল লিস্ট’ পরীক্ষা করে ওই যুবকের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, তদন্তের স্বার্থে ওই যুবকের খোঁজ পাওয়া জরুরি বলে মোবাইল খতিয়ে দেখে তাঁর খোঁজ করা হচ্ছে। |