বড়দিনের সন্ধ্যায় একটি ট্রেলারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মৃত্যু হল তিন যুবকের। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ শহরতলির মহেশতলার বজবজ ট্রাঙ্ক রোডে। মৃত রিঙ্কু নস্কর (৩০), সাগিরউদ্দিন খান (২৮) এবং রাজেশ খান (৩০) নাদিয়াল এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, তিন জনের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। পুলিশের দাবি, বেপরোয়া ভাবে মোটরসাইকেল চালানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা। ট্রেলারটি আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চালককেও।
প্রত্যক্ষদর্শীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, বুধবার সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ বজবজ ট্রাঙ্ক রোড দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে চেপে তারাতলা থেকে বজবজের দিকে যাচ্ছিলেন তিন যুবক। দ্রুত গতিতে একটি অটোকে ওভারটেক করতে গিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা দশ চাকার ট্রেলারের মুখে পড়ে যান তাঁরা। ট্রেলারের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের।
এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই রাস্তার দু’ধারে দোকান গড়ে উঠেছে, ফেলে রাখা হয় ইমারতি দ্রব্য। ফলে রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান তাঁরা। এ ছাড়া, দখলদারি হটিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে এই রাস্তা সংস্কার করার কথা শোনা গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁদের।
এ প্রসঙ্গে পূর্ত দফতরের আলিপুর ডিভিশনের এক কর্তা বলেন, “বজবজ ট্রাঙ্ক রোড চওড়া করার কাজ শুরু হয়েছে। বজবজ থেকে অছিপুর পর্যন্ত কাজ চলছে। মহেশতলা থেকে তারাতলা পর্যন্ত চওড়া করার কাজও খুব শীঘ্রই শুরু হবে।” তবে প্রশাসনিক কর্তারা বলছেন, ওই সঙ্কীর্ণ রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর জন্যই লাগাতার দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে পুলিশি নজরদারি আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত তাঁদের। যদিও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা ট্রাফিক পুলিশের দাবি, সারা দিন ওই রাস্তায় অনেক গাড়ি চলে। সেগুলির উপরে যথেষ্ট নজর রাখা হয়। পুলিশ সূত্রেরও বক্তব্য, রাস্তা সঙ্কীর্ণ হওয়ার ফলে দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। |