ডারবানের পিচ এই সন্দেহ যেন বাড়িয়ে তুলছে দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে। গত কয়েক বছরে এখানকার পিচ ক্রমান্বয়ে স্লো হয়েছে। এ বারের পিচও যথেষ্ট জমাট কিন্তু শুকনো। গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সহকারী কোচ আদ্রিয়ান বিরেল স্বীকার করে গিয়েছেন, “আমরা এখানকার আউটফিল্ড যতটা সবুজ ততটাই সবুজ উইকেটে খেলতে পছন্দ করতাম এই টেস্টে।” এ দিন চিফ কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর চোখমুখও বলছিল না যে, তিনি উইকেট দেখে খুশি। “আমরা হোম সিরিজে যে ধরনের উইকেটে খেলে থাকি এটা মোটেই সে রকম নয়,” বললেন তিনি।
আবার ডারবানের পিচ প্রস্তুতকারী উইলসন এনগোবেস-এর কথায় দু’দলের জন্যই রহস্য থাকছে। “উইকেট একটু স্লো-এর দিকে হয়তো, তবে পাঁচ দিনই যথেষ্ট বাউন্স থাকবে এই পিচে। প্রত্যেকের কাছেই যেটা কৌতূহলের বিষয় হবে। রোজই সকালের সেশনে ব্যাটিং করা কঠিন হতে পারে। কারণ ডারবানে সব সময় সকালের দিকে প্রচুর আর্দ্রতা থাকে।” কিন্তু উইকেটে বল ঘুরবে কি? সোয়ান আর হেরাথ দুই স্পিনারই এখানে ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন। চোখ টিপে কিউরেটরের জবাব, “পিচ বেশ শুকনো। বাউন্সও আছে। এ বার যদি পেসাররা তাদের ফুটমার্কে পিচে রাফ তৈরি করতে পারে, তা হলে তৃতীয় দিন থেকেই স্পিনাররা এই উইকেটে অনেক কিছু পাবে।”
ডারবানের পিচ প্রস্তুতকারী ধোনির টিম ইন্ডিয়া-র কাছে সান্তা ক্লজ হয়ে দেখা দেবেন কি না সেটা সময়ই বলবে। তবে কালিস দক্ষিণ আফ্রিকা ড্রেসিংরুমে মোটেই তা নন এই মুহূর্তে। কেপলার ওয়েসেলসের মতো প্রাক্তন অধিনায়ক বললেন, “কালিস আমাদের দেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। টেস্টের আগের দিন এ রকম সিদ্ধান্ত ঘোষণার একটা প্রভাব তো এই টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার পারফরম্যান্সে পড়বেই। সেটা ভাল-মন্দ দুই হতে পারে।” |
ডারবান ডর |
• শেষ পাঁচ বছরে ডারবানে পাঁচ টেস্টের চারটি হেরেছে গ্রেম স্মিথের দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২০০৮-এ হারানোর পর কিংসমিডে তাদের হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, শ্রীলঙ্কা।
• এই পাঁচ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে গড় রান ২৬৭, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪০। সেখানে বিপক্ষের প্রথম ইনিংসের গড় রান ৩২২, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৯।
• ২০০৮-এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০ উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকার পুরো পেস বোলিং আক্রমণ তুলে নিয়েছিল। ম্যাচে স্টেইনের ৭, পোলকের ৫ উইকেট।
• ২০০৯-এ অস্ট্রেলিয়ার চার বোলারের পুরো পেস আক্রমণ পাল্টা দক্ষিণ আফ্রিকার ২০ উইকেটের মধ্যে ১৪টা পেয়েছিল।
• ২০০৯-এ অবশ্য ইংল্যান্ডের অফস্পিনার গ্রেম সোয়ান ম্যাচে ৯ উইকেট পান। ইংরেজদের ৩+১ বোলিং আক্রমণ ছিল।
• ২০১০-এ ধোনির ভারতও তিন পেসার-এক স্পিনার নিয়ে খেলে। হরভজন সিংহের মতো জাহির খানেরও ম্যাচে ছিল ৬ উইকেট। ইশান্ত শর্মার ২ উইকেট।
• ২০১১-এ শ্রীলঙ্কাও ৩+১ বোলিং ফর্মেশন খেলিয়ে জেতে। বাঁ-হাতি স্পিনার রঙ্গনা হেরাথের ম্যাচে ছিল ৯ উইকেট। প্রথম ইনিংসে পেসার ওয়েলেগেদারা পান ৫ উইকেট। |
|