শহর ছেড়ে পাহাড়ের দিকে যাওয়ার পথে, সড়ক থেকে কিছুটা দূরে এক ফালি সবুজ। গাছগাছালি ভরা। দিগন্তে পাহাড়ের আভাস। বাঁশি শুনে বকুল, জারুল, পলাশ, সেগুন থেকে বেরিয়ে এল ৫৯ জন পড়ুয়া। বসুন্ধরা’র মাঠের মাঝখানে চারটে লাইনে দাঁড়াল ছাত্র-ছাত্রীরা। সামনে রাখা স্তম্ভে পতাকা তুলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বললেন, “ওপেন।” আবার বাঁশি বাজল। শুরু হয়ে গেল বসুন্ধরা-র চার দিনের প্রকৃতি পাঠ শিবির। শিলিগুড়ি থেকে সুকনা যাওয়ার রাস্তায় দাগাপুরে বসুন্ধরার প্রকৃতি পাঠ শিবিরের আয়োজন হয়েছে। সংস্থার নিজস্ব উদ্যানে তাঁবু খাটানো হয়েছে। সেগুলির নাম বকুল, জারুল, পলাশ, সেগুন। তাঁবু খাটিয়েই তৈরি হয়েছে চিকিৎসা কেন্দ্র। বুধবার বড়দিনে শুরু শিবিরের, চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পাখি দেখা থেকে, কীটপতঙ্গ চেনা, জল সংরক্ষণ থেকে দূষণ রোখা খেলাচ্ছলে শেখানো হবে। |
উদ্যোক্তা সংস্থার কো-অর্ডিনেটর সুজিত রাহা বললেন, “প্রকৃতিপাঠ শিবিরের লক্ষ্য ছোটদের প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। কিন্তু আমাদের মূল লক্ষ্য হল ভবিষ্যতের জন্য স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা, যাঁরা পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসবেন। পরিবেশের সঙ্গে ওদের ভালবাসা তৈরি করে দিতেই শিবিরে পরিবেশ-পরিচয় করানো হবে।” ১৭ জন ছাত্রী সহ মোট ৫৯ জন আবাসিক রয়েছে শিবিরে। শিবিরেই তালিম দেওয়া হবে আবৃত্তি, নাচ গানের। শেষ দিন ‘ক্যাম্প ফায়ার’, নাচ-গান। বসুন্ধরা-র পক্ষে জানানো হয়েছে, পাখি-কীটপতঙ্গ চেনানোর পাশাপাশি, রাতের আকাশের তারা, গ্রহ-পুঞ্চ, ছায়াপথ চেনানো হবে পড়ুয়াদের। জল সংরক্ষণ সহ অন্য সচেতনতার পাঠ পড়ানো হবে। সেই পাঠে অংশ নেবে শিক্ষক। উদ্যোক্তা সুজিতবাবুর কথায়, “এখানেই সার্থকতা, এখানে পড়ুয়া-শিক্ষক-আমরা— পরিবেশের ছাত্র।” |