|
|
|
|
প্রবন্ধ... |
ইউপিএ কেন হারল, মোদী কেন জিতছেন না |
চাঁদের পাহাড় জিতল না ধুম থ্রি, এই প্রশ্নের মতোই আমরা জানতে চাই, নরেন্দ্র মোদী
জিতলেন, না ইউপিএ? এই সরল প্রশ্নের বাইরে থেকে যায় উন্নয়নের চরিত্র, মানুষের কাছে
পৌঁছনোর ক্ষমতা নিয়ে আলোচনা। ২০১৩ সালে কোথায় দাঁড়িয়ে ভারত?
অমিতাভ গুপ্ত |
একটা গোটা বছর জুড়ে রাজনীতির ঝগড়ায় অর্থনীতির তর্ক চলল। উন্নয়নের তর্ক। অমর্ত্য সেন ঠিক নাকি জগদীশ ভগবতী, ‘ইউপিএ মডেল’-ই অনুসরণীয় নাকি ‘মোদী মডেল’ বছরভর মিডিয়ায় এই চাপানউতোর দেখলাম। তবে, বড্ড সরল ভাবে। আসলে যে এমন ‘মডেল’ বলে কিছু হয় না, ও ভাবে কোনও বড় ছবি দেখা সম্ভব নয়, এই কথাটা কেউ খুব একটা বললেন না। বড় ছবিটার ভেতরের ছোট ছবিগুলো দেখতে হবে, সেটাও বলা হল না।
সমস্যাই হল, আমাদের অত ধৈর্য নেই। চাঁদের পাহাড় জিতল না কি ধুম থ্রি, এটা যেমন জানতে ইচ্ছে করে, তেমনই উন্নয়নের বিতর্কেও একটিমাত্র প্রশ্ন টিকে থাকে মোদী জিতলেন, না ইউপিএ? এক নজরে উত্তর দিতে হলে অনেকেই মোদীর নাম বলবেন। দুটো কারণে। এক, তাঁর রাজ্যে বিনিয়োগের প্লাবন বয়ে গিয়েছে এবং পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছে নজরে পড়ার মতো। এবং দুই, তাঁর রাজ্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের বৃদ্ধির হার ধরে রেখেছে জাতীয় গড়ের অনেক ওপরে। দুটোই একেবারে নিটোল পরিসংখ্যান, অস্বীকার করার উপায় নেই (যদিও, গুজরাতে যে পরিমাণ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি আসে, প্রকৃত বিনিয়োগ আসে সেই তুলনায় অনেক কম। কিন্তু সে কথা থাক)। |
|
সহাবস্থান। ধরাভি, মুম্বই। গেটি ইমেজেস। |
মুশকিল হল অত্যুৎসাহীদের নিয়ে। তাঁরা প্রথমে মোদীর এই দুটি ‘কৃতিত্বের’ মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেন, তার পর দাবি করেন যে এই পথ ছাড়া আয়বৃদ্ধির উপায় নেই (ফলত, উন্নয়নেরও আর পথ নেই) এবং শেষে বলেন যে একমাত্র নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতির কারণেই এই আয়বৃদ্ধি ও উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। ২০১৩ এক অর্থে ‘নরেন্দ্র মোদী মডেল’-এর গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের বছর। কাজেই, এই কথাটি ঠিক কি না, যাচাই করে দেখতেই হবে। |
আয়বৃদ্ধির অনেক পথ |
গত পাঁচ দশ বছরে বেশ কয়েকটি রাজ্যে আয় বেড়েছে চড়া হারে। এক নম্বরে বিহার। নীতীশ কুমার বিহারে জোর দিয়েছেন রাস্তা, সেতু তৈরির দিকে। এবং, সেই পরিকাঠামোর ফলে বিহারে হঠাৎ ক্ষুদ্র উদ্যোগের সাফল্য বেড়ে গিয়েছে অনেকখানি। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে বেশ কয়েকটা বিদ্যুৎকেন্দ্র। অনেকেই বলেন, বিহার এতই খারাপ অবস্থায় ছিল এত দিন ধরে যে সেখানে দশ শতাংশ হারে বৃদ্ধির জন্যও খুব বেশি আয় বাড়ানোর প্রয়োজন হয়নি! কথাটা মিথ্যে নয়। কিন্তু তার সঙ্গে এটাও সমান সত্যি যে একটি রাজ্য দীর্ঘ দিন ধরে তলানিতে থাকলে তার সমস্ত প্রতিষ্ঠান, সব কলকবজায় এমনই জং ধরে যায় যে তাকে ফের গতিশীল করে বছরে দশ শতাংশ আয় বাড়ানোর কাজটি কঠিন। নীতীশ সেই কাজটি পেরেছেন। কাজেই তাঁর কৃতিত্ব মোদীর তুলনায় কম অথবা তাঁর মডেলটি ‘মোদী মডেল’-এর তুলনায় অকার্যকর, এমন দাবি করার কারণ নেই।
‘মোদী মডেল’ থেকে দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শিবরাজ সিংহ চৌহানও আর এক বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশ নজর দিয়েছে প্রাথমিক সামাজিক পরিকাঠামোর দিকে পানি, বিজলি, সড়ক। তাঁর কৃষিপ্রধান রাজ্যে শিল্পায়নের ঘোড়া ছোটাতে চাননি চৌহান। কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছেন, চাষের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন। জলের জোগান রাখতে গ্রামে গ্রামে পুকুর খুঁড়েছেন। ফলও মিলেছে। মূলত কৃষির হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশ। একাদশ যোজনায় মধ্যপ্রদেশের আয়বৃদ্ধির গড় হার নয় শতাংশের ওপরে।
পাশের রাজ্য ছত্তীসগঢ় আয়বৃদ্ধির দৌড়ে পিছিয়ে আছে, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ অর্জন করে ফেলেছেন একটি বিরল খেতাব রাজ্যের মানুষ তাঁকে ‘চাওল বাবা’ নামে ডাকে। যে গণবণ্টন ব্যবস্থা গোটা দেশে মৃতপ্রায়, রমন সিংহ তার পুনরুজ্জীবন ঘটিয়েছেন। চাল পৌঁছেছে তাঁর রাজ্যের প্রত্যেক কোনায়।
অর্থাৎ, কোনও রাজ্যে আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়ানোর জন্য বিনিয়োগের প্লাবন আবশ্যিক নয়। কাজেই, যে যাঁরা দাবি করেন ‘মোদী মডেল’ ছাড়া রাজ্যের আয় বাড়ানো সম্ভব নয়, তাঁরা ঠিক কথা বলছেন না। এবং, মোদী না থাকলে গুজরাতের এই উন্নয়ন হত না, এমনটাও নয়। মোদী যখন স্বয়ংসেবক হিসেবে সবে হাত পাকাচ্ছেন, তখন থেকেই আয়বৃদ্ধির দৌড়ে গুজরাত দেশে প্রথম সারিতে। |
বৃদ্ধি বনাম উন্নয়ন |
আয় বাড়লেই কিন্তু উন্নয়ন হয় না। সবচেয়ে বড় উদাহরণ গুজরাত। সেখানে আয় যে গতিতে বেড়েছে, সামাজিক উন্নয়নের সূচক বেড়েছে তার চেয়ে অনেক ধীরে। রঘুরাম রাজন কমিটির রিপোর্ট, যোজনা কমিশনের অর্থনীতিবিদ প্রাঞ্জুল ভাণ্ডারীর রিপোর্ট, সবেতেই এই কথাটি উঠে এসেছে। সে রাজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভোগেন। ২০১১ সালের মানব উন্নয়ন সূচক বলছে, বিগত দশ বছরে গোটা দেশের সূচক যখন ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, গুজরাত সেখানে মাত্র ১৩ শতাংশ এগিয়েছে।
তবে, আয়বৃদ্ধির সঙ্গে উন্নয়নের এই সম্পর্কহীনতা শুধু গুজরাতেরই বাস্তব নয়। একদা কৃষিপ্রধান হরিয়ানা এখন পরিষেবা ক্ষেত্রের ওপর দাঁড়িয়ে প্রভূত আয় বাড়িয়েছে। আয়বৃদ্ধির মডেলটি আলাদা হলেও উন্নয়নের মার্কশিটে ফল খুব পৃথক নয়। রাজ্যে অপুষ্টি বিপুল, লিঙ্গবৈষম্য বিপুলতর। শিক্ষার ক্ষেত্রে লিঙ্গসাম্যের সূচকে হরিয়ানা দেশে ২১তম স্থানে। অর্থাৎ, সনাতন গ্রামভিত্তিক কৃষিপ্রধান অর্থনীতির হরিয়ানা যে সমস্যাগুলোতে ভুগত, আজকের বিশ্বায়ন-নির্ভর পরিষেবাচালিত হরিয়ানা সেই একই সমস্যায় ভুগছে। আয়বৃদ্ধি তাতে আঁচড় কাটতে পারেনি। তার সঙ্গে বরং যোগ হয়েছে বাহ্যিক পরিকাঠামোর তীব্র অপ্রতুলতা এবং আঞ্চলিক বৈষম্য।
একাদশ যোজনার সময়কালে প্রায় সাড়ে আট শতাংশ হারে আয় বেড়েছে মহারাষ্ট্রেও। কিন্তু এখানে ৪৬ শতাংশ ছেলেমেয়ে দীর্ঘকালীন অপুষ্টির শিকার। আর্থিক অসাম্য বাড়ছে। মানব উন্নয়নের আলোচনায় মহারাষ্ট্রের সঙ্গে গুজরাত বা হরিয়ানার তুলনা হতে পারে না, তা ঠিক। এই সূচকে মহারাষ্ট্র দেশে পাঁচ নম্বর। কিন্তু এই মহারাষ্ট্রেও মুম্বই-পুণা-নাসিকের চোখধাঁধানো উন্নতির পাশাপাশি বিদর্ভের সর্বস্বান্ত কৃষকরাও আছেন। এই রাজ্যেও উন্নয়ন সমদর্শী নয়।
আয়বৃদ্ধি পরিসংখ্যানমাত্র কোন পথে তা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের জীবনকে কোথায় তা কেমন করে ছুঁচ্ছে, এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জোগানোর দায় তার নেই। রাজ্যের আর্থিক সমৃদ্ধি থেকে পরবর্তী শিল্পের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা হচ্ছে, নাকি সেই টাকায় তৈরি হচ্ছে রাস্তা-স্কুল-স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সস্তায় খাবার দেওয়া হচ্ছে সরকারি ক্যান্টিনে, নাকি ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে সাইকেল পরিসংখ্যান এই হিসেব রাখে না। কিন্তু উন্নয়নের গল্পে এগুলো জরুরি প্রশ্ন। ঠিক যেমন জরুরি এটা জানা, কোনও রাস্তা তৈরি হলে সেটা কার জন্য হচ্ছে? সেই রাস্তা কোন জায়গাগুলোকে জুড়ছে, বড় রাস্তায় অনেক ছোট পাকা রাস্তা এসে মিশছে কি না। সেই রাস্তায় চলার জন্য টোল ট্যাক্স দিতে হচ্ছে কি না। গুজরাতের আর বিহারের রাস্তা উন্নয়নের গল্পে একই ভূমিকা পালন না-ও করতে পারে। কোনও মডেলের সাফল্য-ব্যর্থতার হিসেব শুধু আয়বৃদ্ধি আর বিনিয়োগের অঙ্কে আটকে থাকতে পারে না। |
উন্নয়ন ও সুশাসন |
অর্থনীতির কোন মডেল ভোটে সাফল্য এনে দিতে পারে? প্রশ্নটা এক মোক্ষম গোলকধাঁধা। ইউপিএ উন্নয়ন-নীতিকে অধিকারের স্তরে তুলে নিয়ে গিয়েছে। খাদ্য, কর্মসংস্থান বা শিক্ষা এর সবই এখন সাংবিধানিক অধিকার। মানে, পরবর্তী কোনও সরকার, তার হাজার অনিচ্ছা থাকলেও, এই পরিষেবাগুলো থেকে মানুষকে বঞ্চিত করতে পারবে না। এটা এক বিরাট পদক্ষেপ। কংগ্রেস আশা করতেই পারত, নিছক কৃতজ্ঞতাবশেই গরিব মানুষ তাদের ভোট দেবে। কিন্তু, এই যাত্রায় তা বোধ হয় হচ্ছে না।
দিল্লিতে শীলা দীক্ষিতের ভরাডুবি হল। রাজস্থানে অশোক গহলৌতের। ছত্তীসগঢ়ে রমন সিংহ কানে ঘেঁষে জিতলেন। প্রশ্ন উঠতেই পারে, জনমুখী নীতির কি কোনও গ্রাহক নেই, সবাই বিনিয়োগের রমরমাই চাইছেন?
কিছু ভোটার ‘মোদী মডেল’ই চান। তাঁরা অপেক্ষাকৃত অবস্থাপন্ন খাওয়াপরার চিন্তা তাঁদের নেই। শিল্প হলে, বিনিয়োগ এলে তাঁদের লাভ, কারণ সেই শিল্পে যোগ দেওয়ার মতো সামর্থ্য এবং সক্ষমতা তাঁদের আছে। কিন্তু এঁরাই ভারতীয় ভোটারের একমাত্র ছবি, এমন দাবি করলে অত্যুক্তি হবে। আসলে ভারতের ভোটারের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এখনও ভাত-কাপড় আর সামান্য শিক্ষা-স্বাস্থ্যের সংস্থান নিয়েই ব্যতিব্যস্ত। শিল্প এলেও তাঁদের সমস্যার সমাধান হবে না, বরং অনেকের কাছে তা অস্তিত্বের সংকট হয়ে দাঁড়াবে।
তাঁরা কি আদৌ জনমুখী অর্থনীতিকে প্রত্যাখ্যান করছেন, নাকি সেই নীতির রূপায়ণে সরকারি ব্যর্থতায় নিজেদের হতাশা প্রকাশ করছেন ব্যালট বাক্সে? সম্ভাবনা যথেষ্ট। সরকারি নীতি মিড ডে মিলের কথা বলছে, কিন্তু গ্রামের স্কুলে আনাজ পৌঁছচ্ছে না। শিক্ষার অধিকার দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু স্কুল কামাই করে কোচিং ক্লাস চালাচ্ছেন শিক্ষকরা। কাজের অধিকার পাওয়ার পরেও শাসকদলের পতাকা না বইলে কাজ পেতে হয়রানি ফুরোচ্ছে না। রাগ হওয়ার কারণ বিলক্ষণ আছে।
‘মোদী মডেল’-এর সঙ্গে ‘ইউপিএ মডেল’-এর একটা ফারাক হল, দ্বিতীয়টি প্রশাসনের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। গুজরাতের মতো রাজ্যে, যেখানে জমি অধিগ্রহণের প্রশ্নে সরকার বেশ নির্মম, শিল্পের জন্য জমি জোগাড় করে দেওয়া যত কঠিন, তার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন হল বিহারের গ্রামের স্কুলে মিড ডে মিলের সম্পূর্ণ আনাজ পৌঁছে দিতে পারা। কারণ, দ্বিতীয় কাজটিকে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন মানুষের ওপর নির্ভর করতে হয় অনেক বেশি। প্রত্যেকটি স্তরের, প্রত্যেকটি মানুষের ব্যক্তিগত সততা, কর্মনিষ্ঠা এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। শিল্প এক বার তৈরি হয়ে গেলে যে সীমিত সংখ্যক মানুষের কাছে তার সুফল পৌঁছনোর, তা বাজারের মাধ্যমেই পৌঁছায়। কিন্তু গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের হাতে খাবার পৌঁছে দিতে হলে নির্ভর করতে হবে প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানের ওপর। সেখানে বাজার নেই। অর্থাৎ, ‘মোদী মডেল’-এর প্রশাসনিক দুর্বলতায় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা তুলনায় অনেক কম।
মোদী যেখানে সু-প্রশাসক হিসেবে খ্যাত, সেখানে কি সত্যিই বলা যায় যে তাঁর মডেলে প্রশাসনের প্রয়োজন অপেক্ষাকৃত কম? প্রশাসক হিসেবে তাঁর খ্যাতি মূলত শিল্পায়নের প্রস্তাবের দ্রুত নিষ্পত্তির কারণে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি শিল্পায়নে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন এবং পুরো বিষয়টি নিজের অধীনে রাখেন, তবে সেখানে প্রশাসনের কাজটা ‘সিঙ্গল উইন্ডো’-র হয়ে দাঁড়ায়। সেই জানালার তত্ত্বাবধানে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এই প্রশাসনিক কাজের পরিধি ছোট, অল্পসংখ্যক লোকের জন্যই কাজটি করতে হয় এবং তার নজরদারি অপেক্ষাকৃত সহজ।
‘ইউপিএ মডেল’-এ প্রশাসনিক কাজের চরিত্র আলাদা। সেখানে প্রশাসনকে পরিষেবা নিয়ে পৌঁছে যেতে হবে সব মানুষের কাছে। ফলে, কাজটি ব্যাপক। কোনও এক জনের পক্ষে এই কাজের নজরদারি করা সম্ভব নয়। এই মডেলকে সফল করতে গেলে প্রশাসনের সর্বস্তরে কুশলতা নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব থেকে বিডিও অফিসের কেরানি, মন্ত্রী থেকে পঞ্চায়েত প্রধান, সব স্তরে কাজ না হলে এই মডেলটি সফল হবে না।
ইউপিএ সরকার সেই কুশলতা, সেই সততা নিশ্চিত করতে পারেনি। মোদী পারবেন কি না, তার পরীক্ষা এখনও হয়নি। দেশের প্রধানমন্ত্রী হলে এই পরীক্ষায় তাঁকে বসতেই হবে। গুজরাতে শিল্পায়নের পথ মসৃণ করতে পেরেছেন বলেই সর্বজনীন উন্নয়নের কাজেও সফল হবেন, তার নিশ্চয়তা নেই। |
|
|
|
|
|