দুটি পৃথক মামলায় জেলবন্দি ৭ জিটিএ সদস্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। আগামী কাল থেকেই বড়দিনের ছুটি শুরু হচ্ছে আদালতে। তার ফলে আগামী ২৭ জানুয়ারি ফের আদালত না খোলা পর্যন্ত জিটিএ সদস্যদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই আইনজীবীরা মনে করছেন।
দার্জিলিঙের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত সোমবার ৬ জিটিএ সদস্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। একই দিনে দার্জিলিং জেলা আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাশে আরেক জিটিএ সদস্যের জামিন নাকচ হয়েছে। দার্জিলিং আদালতের সরকারি আইনজীবী প্রণয় রাই বলেন, “গত ২ অগস্ট দার্জিলিঙের রিম্বিক পুলিশ ফাঁড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জিটিএ সদস্যের জামিনের আবেদন এ দিন আদালতে খারিজ হয়ে গিয়েছে। মামলায় চার্জশিট জমা না পড়ায় জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছি।” আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জিটিএ সদস্য মহেন্দ্র প্রধান, অরুণ সিঙ্গে, যোগেন্দ্র রাই, অনীত থাপা, অনুজ থাপা, প্রণয় থাপা অনান্যরা এই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি মামলার ফের শুনানি হবে বলে আদালত জানিয়েছে।
অন্যদিকে, দার্জিলিং আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাশে সিংমারি পুলিশ পাঁড়িতে আগুন লাগানোর চেষ্টার অভিযোগে ধৃত নিমা তামাঙ্গের জামিনের আবেদনও এ দিন খারিজ হয়েছে। গত ৩১ জুলাইয়ে দায়ের করা ওই মামলায় জিটিএ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ১৬ ডিসেম্বর অন্য একটি মামলায় নিমা তামাঙ্গ জামিন পেলেও সে দিনই তাঁর বিরুদ্ধে সিংমারির ঘটমনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ করা হয়। মামলার সরকারি আইনজীবী পঙ্কজ প্রসাদ জানিয়েছেন, তদন্ত চলতে থাকায় জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করা হয়েছে। মোর্চার অন্যতম আইনজীবী দীনেশ চন্দ্র বলেন, “জামিনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হবে। ৭ জিটিএ সদস্যের বিরুদ্দেই বর্তমানে একটি করে মামলা রয়েছে।”
গত ২১ ডিসেম্বর জিটিএ সদস্য বিনয় তামাঙ্গ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এদিন অন্যদের জামিনের আবেদন খারিজ প্রসঙ্গে অবশ্য মোর্চা নেতারা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে না বলে মোর্চা সূত্রে জানানো হয়েছে।
|