পুলিশের উপস্থিতিতে একটি বাড়িতে চড়াও হয়ে কর্ত্রীকে মারধর ও গালি দেওয়ার অভিযোগ উঠল কংগ্রেসের কাউন্সিলর তথা শিলিগুড়ি পুরসভার পাঁচ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান শর্মিলা শর্মার বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মহানন্দাপাড়ার মজুমদার কলোনিতে। শর্মিলার নামে শিলিগুড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের গৃহকর্ত্রীর মেয়ে পায়েল নন্দী। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি ওজি পাল বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযোগকারী পায়েলের বক্তব্য, “১০ বছর ধরে তাঁদের জায়গা ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করছেন ৬ জন। তাঁরা ব্যবসার পাশপাশি মদও বিক্রি করেন বলে সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি। রাত হলে মদ খেয়ে ঝগড়াঝাঁটি লেগে থাকে। তাই আমরা এঁদের উঠে যেতে বলি। কিন্তু তাঁরা উল্টো আমাদের হুমকি দিচ্ছে।” যদিও মারধর, গালির ঘটনা অস্বীকার করে শর্মিলা বলেন, “আমি কাউকে মারিনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।” তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন মেয়ে পায়েল নন্দীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “পায়েল দেবী ৪৫ বছর ধরে তাঁদের জায়গায় ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করা ৬ জনকে উচ্ছেদ করতে চাইছেন। লোক দিয়ে জিনিস ফেলে দিয়েছেন।” পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে পুরসভার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান কিছু লোক নিয়ে মহানন্দা পাড়ার বিজয় নন্দীর বাড়ি গিয়ে তাঁর ভাড়াটেদের পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি অসুস্থ থাকায় মেয়ে পায়েলের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। পায়েল দেবীর অভিযোগ, “শর্মিলাদেবী তাঁর মা মমতাদেবীকে গালিগালাজ করেন। প্রতিবাদ করতে গেলে মমতাদেবীকে ধাক্কা দেওয়া হয়। কোমরে, ঘাড়ে চোট লাগায় তিনি বর্তমানে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।”
|