টুকরো খবর
মন্ত্রীর হোর্ডিং ছেঁড়ায় কাজিয়া শিলিগুড়িতে
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের ছবি লাগানো হোর্ডিং ছেঁড়ার অভিযোগ উঠল। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যসেন কলোনী এলাকায়। ঘটনাস্থলের সামনের একটি পার্কের নিরাপত্তারক্ষী তির্য মাহাতো জানান, এক দল দুষ্কৃতী বাইক নিয়ে এসে হোর্ডিঙে থাকা মন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে দেয়। কাউকে না বলার জন্য তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয় বলে রক্ষী জানান। নিউ জলপাইগুড়ি ফাঁড়িতে ঘটনার বিবরণ দিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে গোটা ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএমকে। ওই দুই দলের পক্ষ থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশে ডিসি ওজি পাল অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান। তৃণমূলে দার্জিলিং জেলা মহাসচিব কৃষ্ণ পাল অভিযোগ করেন, “কংগ্রেস ও সিপিএমের যৌথ ষড়যন্ত্রে এ ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা চায় না এলাকায় কোনও উন্নয়ন হোক। সে কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।” যদিও এই ধরণের ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেসের কেউ জড়িত নন বলে দাবি কনে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুবীন ভৌমিক। তিনি বলেন, “কংগ্রেস এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নয়। তৃণমূলের উচিত পুলিশের উপরেই তদন্তের ভার ছেড়ে দেওয়া। তা হলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে প্রচারের স্বার্থে তৃণমূলই এই ঘটনা ঘটিয়েছে, না অন্য কেউ করেছে।” সিপিএম জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেছেন, “পোস্টার, ব্যানার ছেঁড়ার মতো কাজ করার মত রুচি এবং সময় আমাদের নেই। এটা বরং ওঁদেরই সংস্কৃতি।”

জল্পেশে অতিথিনিবাস
এত দিন জল্পেশ মন্দির এলাকায় ইচ্ছা থাকলেও থাকা সম্ভব ছিল না। এ বার সেই ব্যবস্থাও হল। সোমবার সকালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের আর্থিক সাহায্যে জল্পেশ মন্দির সংলগ্ন প্রাঙ্গণে একটি দোতলা পর্যটক আবাসের উদ্বোধন করেন উত্তবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেব। মন্ত্রী বলেন, “উত্তরবঙ্গের এই প্রাচীন তীর্থস্থান ঘিরে পর্যটন বিকাশে নানা পরিকল্পনা হচ্ছে। জল্পেশ্বর, বটেশ্বর, জটিলেশ্বর মন্দির এবং রামসাইকে ঘিরে একটি টুরিস্ট সার্কিট গড়ার চেষ্টা হচ্ছে। জল্পেশ মন্দিরের চারপাশের এলাকায় সুন্দর বাগান গড়ে তোলা হচ্ছে।” নতুন পর্যটক আবাসটি তৈরি করতে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। মোট ১৬টি ঘর রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। ডরমেটরিরও রয়েছে। জল্পেশ মন্দিরে এখন সারা বছরই পর্যটক সমাগম হয়। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসে লক্ষাধিক লোক মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। এতদিন পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা ছিল না। অনেকে মূল মন্দিরের বারান্দায় রাত কাটাতেন। জল্পেশ মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরিন দেব বলেন, “অনেকেই এসে এখানে থাকতে চাইতেন। অতিথিশালা না থাকার জন্য জায়গা দিতে পারতাম না। এ বার সেই সমস্যা মিটল।” মন্দির কমিটি সূত্রের খবর, নতুন পর্যটক আবাসটির দেখভালের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত তা ঠিক করা হবে বলেও মন্ত্রী এ দিন জানিয়েছেন। মন্ত্রী জানান, ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতি বিদ্যুতের বিল দিতে রাজি হলে ময়নাগুড়ি থেকে জল্পেশ মন্দির পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তায় পথবাতি লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। মন্দির সংলগ্ন দুটি পুকুর সংস্কার, ময়নাগুড়ি থেকে মন্দির অবধি রাস্তা চওড়া করার মত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা চলছে। জল্পেশ মোড়ে একট বড় গেটও তৈরি করা হবে। বিদ্যুতের বিল মেটাতে তাঁরা রাজি বলে এ দিনই জানিয়ে দেন ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুভাষ বসু।

শ্লীলতাহানির সাজা
শ্লীলতাহানির ঘটনায় ষাট বছরের ব্যক্তিকে দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল দার্জিলিং জেলা আদালত। সোমবার তিলক মঙ্গর নামে অভিযুক্ত ওই বৃদ্ধকে অতিরিক্ত জেলা বিচারক (তৃতীয় কোর্ট) স্বদেশ রঞ্জন রায় কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। ২০১০ সালের অগস্টে অভিযুক্ত ব্যক্তি পড়শি এক নাবালিকাকে চকোলেট দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে এনে শ্লীলতাহানি করে।

পুলিশ ক্যাম্প চালু
অসম সীমানার পাকড়িগুড়ি বাজারে পুলিশ ক্যাম্প চালু করল কুমারগ্রাম থানা। কয়েক মাস ধরে জঙ্গি সংগঠনের নাম করে ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা চেয়ে হুমকি ফোন আসছিল। এই ঘটনায় কেএলও সন্দেহে দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গণধর্ষণের অভিযোগ
আদিবাসীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাগানের দুই শ্রমিকের বিরুদ্ধে। অসুস্থ তরুণীকে আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় কুমারগ্রাম থানার কুমারগ্রাম চা বাগানের শ্রমিক বস্তিতে ঘটনাটি ঘটে। রাতে তরুণীর মা থানায় অভিযোগ জমা দেন। পুলিশ তদন্তে নেমে সোমবার সকালে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম ফিরোজ বাগোয়ার ও ভরত কুমার মিনজ।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.