ব্যালন ডি’অর ঘোষণার দিন যত কাছে আসছে, এক মহাতারকা ক্রমশ মাঠে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন, একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছেন। আর তাঁর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রমশ ঢাকা পড়ে যাচ্ছেন বিতর্কের অন্ধকারে। এঁরা দু’জনক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো আর লিওনেল মেসি।
ক’দিন আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড করার পর রবিবার রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে আরও একটা নজির গড়ে ফেললেন সিআর সেভেন। লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের ৩-২ ভ্যালেন্সিয়াকে হারানোর ম্যাচে হেডে দুরন্ত গোল করে ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় চার নম্বরে উঠে এলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। ১৫১ ম্যাচে সিআর সেভেনের গোলসংখ্যা এখন ১৬৪। তালিকায় তাঁর সামনে রাউল (২২৮), দি’স্তেফানো (২১৬) আর সান্তিলানা (১৮৬)। তবে মোট অ্যাওয়ে গোলের হিসাবে অবশ্য এই ম্যাচেই দি’স্তেফানোকে স্পর্শ করে ফেলেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। রিয়ালের হয়ে ৭৬ ম্যাচে রোনাল্ডোর অ্যাওয়ে গোল ৭১। দি’স্তেফানোর যে নজির গড়তে লেগেছিল ১৪০ ম্যাচ। |
মেসির অবস্থা আবার ঠিক উল্টো। বার্সেলোনার ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রকাশ্যে তাঁর ঝামেলার পর ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন অনেকেই। আর্জেন্তিনীয় মহাতারকা এই ঘটনার পর বার্সা ছাড়ার পরামর্শ কম পাননি। এ বার একই কথা বললেন তাঁর স্বদেশীয়, ম্যাঞ্চেস্টার সিটির সের্জিও আগেরো। “লিওর ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়া উচিত। সিটির ওকে কেনা উচিত। তা হলে আমরা একসঙ্গে খেলতেও পারব,” বলেন আগোরো।
ম্যান সিটির আর এক তারকা ইয়াইয়া তোরের মন্তব্য তো আরও চাঁচাছোলা। “মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে সিটিতে যোগ দিতে চাইলে আমি সমর্থন করব। বার্সেলোনায় একটাই তারকা। সেটা দুই হবে না কখনও। সদ্য চোট আর মাঠের বাইরের যা ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে ওকে, তার সঙ্গে আরও একটা সমস্যা আছে। নেইমার কিন্তু বার্সেলোনায় ধীরে ধীরে উঠে আসছে। নিজের জায়গা করে নিচ্ছে। মেসির জন্য অবস্থাটা জটিল হয়ে পড়ছে,” বলেন তিনি।
মেসির বাবা জর্জ যদিও ছেলের বার্সা ছাড়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলে দেন, “লিও বার্সায় বড় হয়েছে। ক্লাবকে ও ভালবাসে। ক্লাব ম্যানেজমেন্ট আর লিওর মধ্যে কোনও সমস্যা নেই। ওর চোটের সময় ক্লাব যে ভাবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তাতেই পরিষ্কার বার্সায় মেসির মর্যাদার আসন ঠিক কী জায়গায়।”
|