পুলিশের উপস্থিতিতে সভাধিপতি ও বিধায়ক দাঁড়িয়ে থেকে রঘুনাথপুরে ডিভিসি-র তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ওয়াটর করিডরের কাজ শুরু করলেন।
রবিবার নিতুড়িয়া ব্লকের রায়বাঁধ গ্রামের কাছে যখন মাটি কাটার কাজ চলছিল, তখন পাশের এলাকাতেই দিনভর অবস্থান করলেন জমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির শতাধিক সদস্য। তাঁদের দাবি, ক্ষতিপূরণ নেওয়া জমিমালিকদের জায়গায় ডিভিসি কাজ করলে আপত্তি নেই। তবে অনিচ্ছুক জমি মালিকদের জায়গায় জোর করে কাজ করা হলে তাঁরা প্রতিরোধে নামবেন। সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো দাবি করেন, “ভাল ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও অনিচ্ছুক জমি মালিকদের মধ্যে অল্প ক’জন বিরোধিতা করছেন। তাঁদের জমিও কম। ফলে কাজের সমস্যা হবে না। তবে বাধা এলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রঘুনাথপুরে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে একটি ইউনিট উৎপাদনে সক্ষম হলেও শুধু জলের অভাবেই সেই কাজ থমকে রয়েছে। এ দিকে কিছু জমি মালিকের বাধায় জলের পাইপ পাতার কাজ (ওয়াটার করিডর) বন্ধ ছিল। শাসকদলের নেতারা আসরে নেমে অনিচ্ছুক জমি মালিকদের একাংশকে বুঝিয়ে ক্ষতিপূরণের চেক ও টাকা গ্রহণে রাজি করান। এ দিন সেই জমিতেই মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু হয়। ডিভিসি-র মুখ্য বাস্তুকার দেবাশিস মিত্র বলেন, “জেলা সভাধিপতির নির্দেশে এবং মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর সম্মতিতে ওয়াটার করিডরের কাজ শুরু হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে কাজ হবে বলেই আমরা আশাবাদী।”
এ দিন সকাল থেকে স্থানীয় বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরি ও নিতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সভাপতি শান্তিভূষণ প্রসাদকে নিয়ে সভাধিপতি এসেছিলেন। নিতুড়িয়া ও রঘুনাথপুর থানা থেকে আসেন প্রায় ৩০ জন পুলিশ কর্মী। কিছুটা দূরে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছিল জমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটি। ওই কমিটির নেতা সুধীর মণ্ডল, মিলন মণ্ডল, কাজল মণ্ডলদের দাবি, “বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী জমির দাম, প্রকল্পে ঠিকা শ্রমিকের চাকরির নিশ্চয়তা-সহ যে দাবিগুলি আমরা জানিয়েছি, তার মীমাংসা না করেই পুলিশ দিয়ে কাজ করাচ্ছেন সভাধিপতি ও বিধায়ক। অনিচ্ছুকদের জমিতে কাজ করলে প্রতিরোধ হবে।” রঘুনাথপুরের এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জমি মালিকদের একাংশ বিরোধিতা করছেন। জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।” |