শর্ট স্ট্রিটের বিতর্কিত জমিতে অনধিকার প্রবেশ ও সংঘর্ষের মামলায় শনিবার জামিন মঞ্জুর হল উচ্চ মাধ্যমিকের এক পরীক্ষার্থিনীর। কয়েক দিন আগে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের নির্দেশে এই মামলায় অভিযুক্ত অন্য দুই নাবালিকা জামিনে ছাড়া পেয়েছে।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাদের অভিযোগ, ১১ নভেম্বর সাথী দলুই (১৮) নামে ওই ছাত্রী বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবে শর্ট স্ট্রিটের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করেছিলেন। তখন যে সংঘর্ষ হয়, তাতে তিনিও জড়িত। পড়াশোনার ফাঁকে তিনি নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন। গোয়েন্দাদের দাবি, মমতা বিশ্বাস এবং সুমিতা শী নামে অন্য দুই নাবালিকাও অবসর সময়ে ওই সংস্থার হয়ে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করত। তারাও ওই দিন শর্ট স্ট্রিটে অনধিকার প্রবেশ করে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল।
সাথীর আইনজীবী রাজেশ গুপ্ত এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বরূপ শেঠকে জানান, তাঁর মক্কেল ২০১৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। অভিযুক্ত ছাত্রী ৪২ দিন জেলে বন্দি রয়েছেন। তদন্তের কাজে লাগবে এমন জিনিস পুলিশ তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করতে পারেনি। জেলে অভিযুক্তের শনাক্তকরণও (টিআই প্যারেড) হয়ে গিয়েছে। তার পরেও পুলিশ অযথা সাথীকে ফের জেল হেফাজতে পাঠানোর আর্জি জানাচ্ছে। ওই ছাত্রীকে আবার জেলে পাঠানো হলে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
সরকারি আইনজীবী কৃষ্ণচন্দ্র দাস বিচারককে জানান, ‘বাউন্সার’ হিসেবে নয়, ওই ছাত্রী নিরাপত্তা রক্ষী হিসেবেই বিতর্কিত জমিতে ঢুকেছিলেন। বিচারক তাঁর রায়ে জানান, সাথীকে দু’হাজার টাকার জামিনে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। দু’মাস ১৫ দিন অন্তর তাঁকে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে হবে।
এ দিন মামলার আরও ছ’জন অভিযুক্তকে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করানো হয়। সরকারি আইনজীবীর আর্জি মেনে বিচারক তাঁদের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
|