ক্ষতিপূরণের প্রায় ১১ কোটি টাকা মেটাতে আরও কিছুটা সময় চেয়ে আগেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন আমরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সময়মতো ক্ষতিপূরণের টাকা না-পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে শীর্ষ আদালতেই আমরি-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা ঠুকে দিলেন অনাবাসী চিকিৎসক কুণাল সাহা।
শুক্রবার ওই মামলা দায়ের করার পরে কুণালবাবু জানান, ২৪ অক্টোবর সর্বোচ্চ আদালত তাদের রায়ে বলেছিল, আট সপ্তাহের মধ্যে আমরিকে ক্ষতিপূরণের টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। সেই হিসেবে ১৯ ডিসেম্বর সময়সীমা শেষ হয়। তিনি বলেন, “এর মধ্যে আমরি শুধু ৬০ লক্ষ টাকার একটি চেক পাঠিয়েছিল। অথচ তাদের দেওয়ার কথা প্রায় ১১ কোটি টাকা। আমি ওই চেক নিইনি। এবং আদালতের নির্দেশ না-মানার জন্য আমি আমরির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছি।”
চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে মারা যান কুণালবাবুর স্ত্রী অনুরাধা সাহা। দীর্ঘদিনের সেই মামলায় শীর্ষ আদালত ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছে আমরি-কর্তৃপক্ষকে। ক্ষতিপূরণের টাকা মেটানোর জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে ১০ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন আমরি-কর্তৃপক্ষের আইনজীবী নবীন কুমার। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণও আরও এক বার পুনর্বিবেচনার করতে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
ক্ষতিপূরণের প্রাপক তথা মামলাকারী কুণালবাবুকে ১০ ডিসেম্বরই একটি চিঠি দেন আমরি-কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, ঢাকুরিয়ায় আমরির হাসপাতাল পুড়ে যাওয়ায় তাঁদের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। তাই তাঁদের পক্ষে একসঙ্গে ১১ কোটি টাকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ইতিমধ্যে কুণালবাবুকে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন আমরি-কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাঁরা ওই চিঠির সঙ্গে আরও ৬০ লক্ষ টাকার চেক পাঠান। চিঠিতে বলা হয়েছিল, মোট এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়া হল। বাকি টাকা তাঁরা কিস্তিতে দিতে চাইছেন। প্রাপকের দিক থেকে সহযোগিতা চেয়েছিল আমরি। কুণালবাবু অবশ্য তখনই জানিয়ে দেন, সহযোগিতার প্রশ্ন উঠছে না। তার পরেই এ দিন ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মৃতার স্বামী। আমরি-কর্তৃপক্ষ জানান, আদালত অবমাননার মামলা সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র এখনও তাঁদের কাছে আসেনি। তাই তাঁরা এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে পারছেন না।
|