পোলিও মুক্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে ভারত। তার আগে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি সরজমিনে দেখতে মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের ৮টি জেলা সফর শুরু করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রতিনিধিরা। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পোলিও কর্মসূচি প্রকল্পের আফগানিস্তানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান ডায়ান এম সিমসন ও সংস্থার পোলিও প্রকল্পের দিল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-আধিকারিক দীপক কুমার।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ২০০৯ সালে ভারতে ৭৪১জন পোলিও আক্রান্ত রোগী ধরা পড়েছিল। ২০১০ সালে সংখ্যাটা দাঁড়ায় মাত্র ৪২। আক্রান্ত শিশুর মধ্যে ৮ জনই ছিল পশ্চিমবঙ্গের। ওই ৮ জনের ৭ জনই ছিল আবার মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। ২০১১ সালে সারা দেশে মাত্র ১জন পোলিও আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সেটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায়। মুর্শিদাবাদের মধ্যে পোলিও’র হাই রিস্ক জোন সামশেরগঞ্জ। বর্তমান সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পোলিওর টীকাকরণ এখানে ছাড়িয়েছে ১০০ শতাংশেরও বেশি। |
দীপকবাবু জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মানুযায়ী টানা তিন বছর কোনও পোলিও আক্রান্তের খোঁজ না মেলায় ভারতকে ‘পোলিও মুক্ত দেশ’ হিসেবে গণ্য করা হবে। আগামী মে মাসে সেই ঘোষণার আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মুর্শিদাবাদ সহ ৮টি পোলিও প্রবণ (হাই রিস্ক জোন) জেলা সরজমিনে ঘুরে দেখতে চেয়েছে। সিমসন বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদের স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বলা হয়েছে বর্তমানে পোলিও আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা না ঘটলেও নিয়মিত টীকাকরণ চালিয়ে যেতে হবে।” সামশেরগঞ্জ ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক সজল কুমার পণ্ডিত বলেন, ‘‘ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ ও সুতি ব্লকে পোলিও বয়কটের রেওয়াজ রয়েছে। তবে এ বছর সর্বশেষ পোলিও টীকাকরণের দিন সামশেরগঞ্জে ১০০.৮৮ শতাংশ শিশুকে পোলিও ড্রপ খাওয়ানো হয়েছে।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক কর্তা জানান, “২০১৪ এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতেও প্রতি বছর ৫টি করে পালস্ পোলিও কর্মসূচি পালিত হবে।”
|