চার বছর আগে সেপারেটর বসেছে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আঞ্চলিক ব্লাড ব্যাঙ্কে। কিন্তু রক্তের সঙ্কট কাটেনি এখনও। সেপারেটর দিয়ে রক্তের বিভিন্ন উপাদান আলাদা করার কাজটাই তেমন ভাবে হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ ঝেড়ে না কাশলেও তাঁদের দেওয়া পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, এই অবস্থার জন্য দায়ী হাসপাতালের চিকিৎসকদেরই একাংশ।
ব্লাড ব্যাঙ্কের প্রধান আর এন চৌবে গত দু’বছরের রিপোর্ট দেখিয়ে জানান, গত বছর মোট ১৫ হাজার ৪২ ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়েছে রোগীদের। এর মধ্যে ৮ হাজার ২৮৫ ইউনিট অর্থাৎ ৫৭ শতাংশ ক্ষেত্রে উপাদানের কথা উল্লেখই করেননি চিকিৎসকরা। পুরনো ধাঁচে শুধু ‘ব্লাড ১ ইউনিট’ লিখে দিয়েছেন। ব্লাড ব্যাঙ্ক আর কী করে! উপাদান পৃথক না করেই ‘হোল ব্লাড’ দিতে হয় তাঁদের! আর এ বছর? প্রথম দশ মাসে ডাক্তাররা লোহিত কণিকা চেয়েছেন ৩ হাজার ৬৮৯ ইউনিট। প্লাজমা ও প্লেটলেট চেয়েছেন যথাক্রমে ১ হাজার ৫৫০ ও ৩৭৫ ইউনিট। ক্রায়োপ্রেসিপিটেট লিখেছেন ১৭ ইউনিট। সে জায়গায় ‘হোল ব্লাড’ দেওয়া হয়েছে আট হাজার ২৮৫ ইউনিট। অর্থাৎ মোট রক্তের ৫৯ শতাংশ। অথচ ব্লাড ব্যাঙ্কের শিক্ষকরা জানান, শুধু ট্রমা, অ্যাজমা, ক্যানসারের মতো কিছু রোগ ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রেই রক্তের সব উপাদানের প্রয়োজন হয় না।
তা হলে চিকিৎসকরা প্রায় ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে ‘হোল ব্লাড’ লেখেন কেন? বরাক ভ্যালি ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আশু পালের অভিযোগ, চিকিৎসকদের একাংশের পৃথক উপাদান সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই। ‘হোল ব্লাড’ লিখে তাঁরা দায় সারেন। দ্বিতীয়ত, কিছু চিকিৎসক রয়েছেন যাঁরা পুরনো ধ্যান-ধারণার বশবর্তী হয়ে সব রোগেই সম্পূর্ণ রক্তের জন্য পরামর্শ লিখে যাচ্ছেন। তাঁর পরামর্শ, হাসপাতালের উচিত মাঝেমধ্যে ডাক্তারদের জন্য কর্মশালার আয়োজন করা। হাসপাতালের সুপার মৃণালকান্তি দে’র দাবি, “মাঝেমধ্যে কেন, প্রতিটি মাসিক সভায় ডাক্তারদের এ ব্যাপারে বলা হয়। কিন্তু কয়েক জন চিকিৎসক পুরনো ধারণা থেকে কিছুতেই বেরোতে চান না!”
|
স্বাস্থ্যশিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সুসংহত জল বিভাজিকা প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় শুক্রবার এক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির হল শালবনি ব্লকের গড়মাল পঞ্চায়েতের জলহরি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে। উপস্থিত ছিলেন ভূমি সংরক্ষণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (মেদিনীপুর) সহ কৃষি অধিকর্তা সোমা পাল ওঝা, কৃষি দফতরের যুগ্ম কৃষি অধিকর্তা (মেদিনীপুর রেঞ্জ) শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ প্রমুখ। গড়মাল সুসংহত জল বিভাজিকা প্রকল্পটি মোট ৫৩টি মৌজা নিয়ে গঠিত। আয়তন ৪,৫০০ হেক্টর। |