|
|
|
|
অনুরাধা মামলায় ক্ষতিপূরণ মেটাতে সময় চায় আমরি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মনোরোগের চিকিৎসক অনুরাধা সাহার মৃত্যু হয়েছিল চিকিৎসায় গাফিলতির জেরে। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ১১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আমরি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ আরও কিছুটা সময় চেয়েছেন। ক্ষতিপূরণের পরিমাণও ফের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন তাঁরা। গত ১০ ডিসেম্বর আমরির তরফে আইনজীবী নবীন কুমার শীর্ষ আদালতে এই আবেদন জানান।
আবেদনে বলা হয়, ক্ষতিপূরণের টাকা আমরি যাতে এক বছর ধরে মাসিক কিস্তিতে দিতে পারে, সেই অনুমতি দেওয়া হোক। ২৪ অক্টোবর শীর্ষ আদালত রায় দিয়েছিল, ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা এক বারে মেটাতে হবে। ক্ষতিপূরণের প্রাপক তথা আবেদনকারী, অনুরাধাদেবীর স্বামী কুণাল সাহাকে ১০ নভেম্বর একটি চিঠি দেন আমরি-কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, ঢাকুরিয়ায় আমরির হাসপাতাল পুড়ে যাওয়ায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ফলে একসঙ্গে ১১ কোটি টাকা দেওয়া যাচ্ছে না।
ইতিমধ্যে কুণালবাবুকে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছে আমরি। চেকে আরও ৭০ লক্ষ দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় হাসপাতাল। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাকি টাকা তাঁরা কিস্তিতে দিতে চান। কুণালবাবুর সহযোগিতাও চেয়েছে আমরি। “সহযোগিতার প্রশ্নই ওঠে না। ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরো টাকা না-পেলে আদালত অবমাননার মামলা করব,” বলেছেন কুণালবাবু।
অনুরাধাদেবীর মৃত্যুর পরে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ১৯৯৯ সালে মামলা করেন কুণালবাবু। গত অক্টোবরে সর্বোচ্চ আদালত রায় দেয়, আমরিকে সাড়ে ছ’কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং ’৯৯ সাল থেকে সেই টাকার উপরে ৬% সুদ হিসেবে আরও প্রায় পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে। আমরি-কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বলেন, “টাকা দেব না, তা তো বলিনি। তবে একটু সময় চেয়েছি। টাকার পরিমাণটা ফের পুনর্বিবেচনা করতে বলেছি কোর্টকে।” তাঁদের আরও বক্তব্য, সামনে শীতের ছুটি পড়ছে। আদালত বন্ধ থাকবে। ১৯ ডিসেম্বরের সময়সীমা এর মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। যাতে আদালত অবমাননা না-হয়, সেই জন্য ৬০ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হচ্ছে কুণালবাবুকে। বাকি টাকা যাতে কিস্তিতে মেটানো যায়, সেই আবেদনই জানানো হয়েছে কোর্টে।
সম্প্রতি ঢাকুরিয়া আমরি-তে নতুন করে বহির্বিভাগ ও শারীরিক পরীক্ষা শুরু করার ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। কুণালবাবু প্রশ্ন তুলেছেন, “যে-হাসপাতাল কোর্টে জানাচ্ছে তাদের টাকাপয়সা নেই, তারা হাসপাতাল পরিষেবা শুরু করার টাকা পাচ্ছে কী করে?” আমরি-কর্তৃপক্ষ অবশ্য এর উত্তর দিতে চাননি।
|
পুরনো খবর: চিকিৎসায় গাফিলতির ক্ষতিপূরণ ৬ কোটি, অনুরাধা মামলায় নজির
|
ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান বসিরহাটে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
“এত দিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিশেষ কোনও কাজ হয়নি। মানুষ যাতে আরও উন্নত পরিষেবা পান তার ব্যবস্থা করাই আমার কাজ। এরই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে শীঘ্রই বসিরহাট জেলা হাসপাতালে আইসিইউ-র ব্যবস্থা করা হবে।” শুক্রবার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনায় বিপিএল তালিকা ভুক্তদের নাম নথিভুক্তিকরণে কম্পিউটার ব্যবস্থার উদ্বোধন করতে এসে এ কথা বলেন জেলা সভাধিপতি রহিমা বিবি। এ দিন হাসপাতালে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানের উদ্বোধন করেন সাংসদ নুরুল ইসলাম। হাসপাতালের উন্নয়নে সাংসদ তহবিল থেকে ১৯ লক্ষ টাকা দেন তিনি। |
|
|
|
|
|