কলেজের প্রথম দিনটা সবার কাছেই খুব স্পেশাল। তবে রিয়ন হলকোম্বের কাছে আরও বেশি কিছু। ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত সাউথ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা বছর কুড়ির ছেলেটি। জিনগত এই রোগে মানুষের শরীরের বৃদ্ধি আর পাঁচটা সাধারণ লোকের মতো হয় না। বুদ্ধিও স্বাভাবিকের থেকে প্রায় অর্ধেক। তাই রিয়নের মতো ছেলেমেয়েরা কলেজে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিতই থেকে যান।
ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন রিয়ন। ভিডিও করে পাঠান সাঁতারের পদক হাতে তাঁর ছবি। বেসবল ম্যাচে হোমরান নেওয়ার দৃশ্য। কিন্তু সুযোগটা যে মিলে যাবে ভাবতেই পারেননি রিয়ন ও তাঁর পরিবার। তাই খুশির খবর আসতেই বাবা-মা ঠিক করেন মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দি করে রাখবেন। |
চিঠিটা হাতে নিয়েও প্রথমটা ধন্দেই ছিলেন রিয়ন। অবাক মুখেই খামের ভাঁজটা খুলছিলেন তরুণ। ক্যামেরার লেন্স যদিও তাক করেছিল তাঁকে। চিঠিটা খুলে গড়গড়িয়ে পড়তে থাকেন রিয়ন। ক্রমশ বদলে যায় মুখের চেহারা। আর শেষে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে চেঁচিয়ে ওঠেন, “আমাকে ওরা নিয়েছে।”
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে রিয়নের বাবা-মায়ের তোলা সেই ভিডিও। রিয়নের জন্য বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে শুভেচ্ছা-বার্তা। ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপকেও স্বাগত জানাচ্ছেন সবাই। যাঁকে ঘিরে আন্তর্জালের দুনিয়ায় এত হইচই, কী ভাবছেনই সেই রিয়ন? সামনের বছর দু’টো কলেজের বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাসের হস্টেলেই থাকবেন। সবক’টা বেসবল ম্যাচ আর সাঁতারের ইভেন্টে যোগ দেবেন। তাঁর দু’চোখ ভরা স্বপ্নে আরও কত কী!
|