কোচ বদলের সঙ্গে সঙ্গেই বদলে গেল মহমেডান। অন্তত কলকাতা লিগে। বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের জর্জকে উড়িয়ে দিল তারা, অনায়াসেই।
কোচ আজিজকে ছাটাই করে দিয়েছেন মহমেডান কর্তারা। নতুন কোচ সঞ্জয় সেন এখনও অনুশীলনে নামেননি। এই অবস্থায় খেলতে নেমেছিল সাদা-কালো টিম। সহকারী কোচ ফুজা তোপের কোচিংয়ে।
টোলগে বাতিলের খাতায়। জোসিমার ও পেনের চোট। কঠিন এই পরিস্থিতিতে অসীম বিশ্বাস ও রহিম নবিকে ফরোয়ার্ডে নামিয়ে দিয়েছিলেন ফুজা। প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে মহমেডান। কিন্তু গোল পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচের ছবি বদলে যায়। ইজরায়েল গুরুঙ্গের পাস থেকে রহিম নবি গোল করে ১-০ এগিয়ে দেন মহমেডানকে। এর কিছুক্ষণ পরেই পাইতের গোলে ব্যাবধান বাড়ায় ফুজার দল। যে গোল নিয়ে অবশ্য বিতর্ক রয়েছে। পাইতের শট গোলের লাইন পেরিয়েছে কি না তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। রেফারির সিদ্ধান্তে ২-০ এগোয় মহমেডান। যদিও মহমেডান কোচ ফুজাই জানিয়ে দিলেন গোলটা ছিল না। ম্যাচ শেষে ফুজা বলেন, “আমি টিভিতে দেখলাম গোলটা লাইন পার করেনি। কিন্তু এই মরসুমে অনেক খারাপ রেফারিং সিদ্ধান্তের মুখে পড়েছি আমরা।”
নতুন কোচ সঞ্জয় সেনের উপস্থিতিতে ম্যাচে মহমেডানের জন্য জয় নিশ্চিত করেন ইজরায়েল। তাঁর জোড়া গোলের সৌজন্যে ম্যাচের ফল হয় ৪-০। ইজরায়েলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফুজা বলেন, “ইজরায়েলের গতি আছে, গোল করার ক্ষমতা আছে। শুধু ঠিক জায়গায় ফুটবলারদের খেলালেই সেরাটা বেরিয়ে আসে।”
কলকাতা লিগে আর্মি একাদশের কাছে হারের পর আবার জয়ে ফেরা। মহমেডান অধিনায়ক স্বীকার করলেন এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ল দলের। লুসিয়ানো সাব্রোসা বলছিলেন, “জয় সব সময় আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। আজ ভাল খেলেছি আমরা। শুধু এই ম্যাচ নয়, আরও ম্যাচ জিততে হবে।” |