চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে রবিবার জঘন্য হারের পরই আবদুল আজিজকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দিলেন মহমেডান কর্তারা।
ম্যাচের পর গোয়া থেকে ফোনে মহমেডান প্রেসিডেন্ট সুলতান আহমেদ বলে দিলেন, “চার্চিল ম্যাচ পর্যন্তই আজিজকে সময় দেওয়া হয়েছিল। সাফল্যের পথে ফেরার জন্য। উনি সেটা পারেননি। জঘন্য ভাবে এ দিন হারলাম আমরা। সঞ্জয় সেনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে বুধবার সরকারি ভাবে মহমেডানের নতুন কোচের নাম ঘোষিত হবে।”
যদিও আজিজের পরিবর্ত হিসাবে সঞ্জয়ের নাম আগেই ঠিক ছিল। সে ভাবেই প্রাক্তন ইউনাইটেড কোচের সঙ্গে কথাবার্তা বলে রেখেছিলেন মহমেডান কর্তারা। এ দিন দুলের স্টেডিয়ামে সুভাষ ভৌমিকের গোয়ান দলের বিরুদ্ধে মহমেডানের হারের পরই ফিনল্যান্ড আগত নাইজিরিয়ান কোচ আজিজকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁর আর চাকরি নেই। যা শুনে আদৌ বিস্মিত হননি তিনি। ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন, এ রকম যে ঘটতে চলেছে তা ম্যাচ হারার পরেই বুঝতে পেরেছিলেন মুখে যাই বলুন, হোটেলে ফিরে আজিজ অবশ্য নিজেকে ঘর-বন্দি করে রাখলেন। রাতে অবশ্য ফোনে আজিজ বললেন, “আমিও মুক্তি পেলাম।” |
|
|
বিদায়ী কোচ। |
মহমেডানের নতুন কোচ। |
|
আজিজের বিরুদ্ধে মহমেডানে অভিযোগ—
১) ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হলেও আই লিগ এবং কলকাতা লিগে বারবার হোঁচট খাওয়া।
২) ফুটবলারদের সঙ্গে মানসিক দূরত্ব।
৩) টোলগের মতো তারকাদের সামলাতে না পারা।
গত মরসুমে সঞ্জয় সেনের হাত ধরেই মহমেডান আই লিগের মূল পর্বে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছিল। এ মরসুমের শুরুতে তাই সঞ্জয়কে কোচ হিসেবে চেয়েছিলেন ক্লাব কর্তারা। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এ দিন অবশ্য সঞ্জয় ফোনে বললেন, “আমার ব্যক্তিগত সমস্যা তো আছেই। কিন্তু এখন মহমেডান কর্তারা দলকে বাঁচাতে আমাকে এমন ভাবে অনুরোধ করলেন যে, না করতে পারলাম না। তবে আই লিগে নতুন করে কিছু করার সময় নেই। অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। ফেড কাপ আর আইএফএ শিল্ডে ভাল করার চেষ্টা করব।”
আজিজকে সরানোর পাশাপাশি টোলগেকেও শো-কজ করল মহমেডান। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ শৃঙ্খলা ভঙ্গের। অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার শো-কজের কী উত্তর দেন, তা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। |