দলের তীব্র ব্যর্থতায় মোহনবাগান কোচ করিম আর অধিনায়ক ওডাফাকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে রাখলেন সবুজ-মেরুন কর্তারা।
আই লিগে দুর্বল ডেম্পোর কাছেও হারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তড়িঘড়ি জরুরি কর্মসমিতির সভা ডাকা হয়। ক্লাব সূত্রের খবর, সচিব অঞ্জন মিত্রের সল্টলেকের বাড়িতে সেই সভায় অধিকাংশ কর্তাই করিম-ওডাফার পারফরম্যান্সের তীব্র নিন্দা করেছেন। ম্যারাথন বৈঠকের পর সহ-সভাপতি রথীন চক্রবর্তী সাংবাদিক সম্মেলন করেন। বহু দিন পর ক্লাবের বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন সদ্য হাওড়ার মেয়র হওয়া রথীনবাবু। তিনি বলেন, “পুরো বিষয়টা আমরা স্ক্যান করছি। ১৯ ডিসেম্বর আবার বৈঠকে বসব। তবে ২১ ডিসেম্বর পুণে এফসি ম্যাচ পর্যন্ত কোচ আর ক্যাপ্টেনের পারফরম্যান্স দেখা হবে।”
কার্যত পুণে এফসি ম্যাচই করিম এবং ওডাফার ডেড-লাইন। তার আগে ১৭ ডিসেম্বর কলকাতা লিগে এরিয়ান ম্যাচ রয়েছে বাগানের। শোনা যাচ্ছে, এই দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলে ওডাফার আগে কোপ পড়বে করিমের উপর। আই লিগে মোহনবাগান ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দশ নম্বরে। আই লিগ পাওয়ার আশা কার্যত শেষ বাগানের। কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যও তাকিয়ে থাকতে হবে ইস্টবেঙ্গলের হারার দিকে। ফেড কাপ, আইএফএ শিল্ড-ই যা বাকি। ওডাফা এই মরসুমে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি গোল করেছেন। জানুয়ারিতে দলবদলের দ্বিতীয় উইন্ডো খুললে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে কি না তা নিয়েও ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। সদস্য-সমর্থকরা কাঠগড়ায় তুলছেন করিম-ওডাফাকে। ফেসবুক-টুইটারে উপচে পড়ছে কর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভও। ক্লাবের জঘন্য পারফরম্যান্সের পর কেন তাঁরা পদত্যাগ করছেন না, প্রশ্ন তোলা হয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে।
এবং সূত্রের খবরানুযায়ী, এ দিনের বৈঠকে বাগান কর্তাদের নিজেদের মধ্যেই তুমুল বিতণ্ডা হয়। এমনকী সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু আলোচনার মাঝেই রাগে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে যান সভা ছেড়ে। তিনি সভায় করিমের হয়ে সওয়াল করেন। বাকি কর্তারা ছিলেন কোচের বিপক্ষে। সহ-সচিব সভায় বলেন, “ফুটবলাররা খেলতে না পারলে কোচ কী করবে? করিমের পরিবর্তই বা কোথায়?” যেটা মানতে নারাজ অধিকাংশ কর্তাই। শেষ পর্যন্ত করিম প্রসঙ্গে দু’ভাগ হয়ে যান কর্তারা। যা পরিস্থিতি, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানের পর এ বার মোহনবাগানেও কোচ বদলের জোরালো হাওয়া। তবে বৈঠকের পর সচিব অঞ্জন মিত্র, অর্থ-সচিব দেবাশিস দত্তের মতো বাগানের প্রধান কর্তারা এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে গিয়েছেন। |