|
|
|
|
ছিটমহল বিনিময় ঘিরে অচল অসম
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
স্থল-সীমান্ত চুক্তির প্রতিবাদে ডাকা বিজেপির অসম বন্ধ সর্বাত্মকই হল। অসমের জমি বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে, আজ ১২ ঘণ্টা বন্ধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। বন্ধের জেরে রাজ্যজুড়ে দোকানপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। রাস্তায় যানবাহন ছিল নগণ্য। সরকারি দফতরে হাজিরাও ছিল খুব কম। ডিব্রুগড়ের লাহোয়াল ও চাবুয়ায় বন্ধ সমর্থকরা বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে। চাবুয়া, বরাক উপত্যকায় রেল অবরোধের জেরে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হয়। শিলচর-আগরতলা, শিলচর-মহিষাসন, শিলচর-লামডিং রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। বরাক উপত্যকার তিনটি জেলাতেই বন্ধ জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়েছে। |
|
স্তব্ধ জীবন। বরাকের করিমগঞ্জে শুক্রবার। ছবি: উত্তম মুহরী। |
গুয়াহাটির বিভিন্ন রাস্তা, ডিগবয়, নুমালিগড়, নগাঁও, শিবসাগর, নলবাড়ি, যোরহাটের নানা স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বন্ধ সমর্থকরা। কাজিরাঙায়, ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রতিবাদ-অবরোধের জেরে দীর্ঘ ক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। ডিব্রুগড়, দুলিয়াজান, নলবাড়ি, গোলাঘাট, ধেমাজি-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক বন্ধ সমর্থককে ধরেছে পুলিশ। বিজেপির পাশাপাশি, আসুও এ দিন প্রতিবাদ দিবস পালন করে।
এ দিকে, মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ আজ অভিযোগ করেন, “স্থল-সীমান্ত চুক্তি নিয়ে অসম গণ পরিষদ ও বিজেপি নেহাতই রাজনীতি করছে।” তিনি বলেন, “ভূমি হস্তান্তরের ফলে অসমের লাভই হবে। কারণ অসম ও বাংলাদেশের মধ্যে বিতর্কিত ৬৯৮.৮৫ একর জমি এখন কোনও কাজেই লাগছে না। নামেই জমিটি অসমের সীমানাভুক্ত। আসলে তা বাংলাদেশের দখলে রয়েছে। কিন্তু চুক্তি হয়ে গেলে সেই জমির মধ্যে ৪৩০ একর জমির উপরে অসমের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। জমির ব্যবহার হবে।”
একই সঙ্গে গগৈ বলেন, ১৯৭১ সালের আগে অসমে আসা সকলেই ভারতের নাগরিকত্বের দাবিদার। আগামী বছর রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জীয়ন (এনআরসি)-এর কাজ শুরু হচ্ছে। প্রতি ঘরে নাগরিকত্বের আবেদনপত্র বিলি করা হবে। ১৬ দফা তথ্যের ভিত্তিতে নাগরিকদের নাম নথিবদ্ধ করা হবে। সন্দেহজনক বা ‘ডি’ ভোটাররাও নাগরিকত্বের আবেদন জানাতে পারবেন। |
পুরনো খবর: আজ অসম বনধ
|
|
|
|
|
|