|
|
|
|
সরকারের ঢিমেতালা কাজে গরুর গাড়ি নিয়ে প্রতিবাদ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
বিধায়কদের ধমক খেয়ে বিধানসভায় গরুর গাড়ি ঢুকতে অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ। দিনের শেষে সেই বিধায়করা হাসি মুখে বিধানসভা ছাড়লেন। আর তদন্তের মুখোমুখি পড়তে হল বিধানসভার গেটে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী আর বিধানসভার নিরাপত্তারক্ষীদের। তাঁদের সাসপেণ্ড করার বিষয়ে ভাবছে সরকার।
ঝাড়খণ্ড বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের আজই ছিল শেষ দিন। সরকারের সমালোচনা করতে বিরোধী দল ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার বিধায়করা বিভিন্ন দিন বিভিন্ন কর্মসূচি নিচ্ছে। আজ রাজ্য সরকারের কাজের ঢিমেতালা গতির সমালোচনা করতে গিয়ে বাবুলাল মারাণ্ডির দলের বিধায়করা ধীরগতির ‘বহেল গাড়ি’ নিয়ে বিধানসভায় ঢুকে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, বালি ঘাটের নিলাম স্থগিত করাই হোক কিংবা আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি---সব বিষয়েই সরকার সিদ্ধান্ত নিতে প্রচুর সময় নিচ্ছে।
বিধানসভায় বিধায়কদের অতিথি নিবাসের সামনের রাস্তা দিয়ে বেশ খানিকটা গিয়ে বিধানসভায় ঢোকার প্রধান গেট। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দলনেতা প্রদীপ যাদব ও অন্যান্য বিধায়কদের গরুর গাড়ি চড়ে অতিথি নিবাসের সামনের রাস্তা দিয়ে আসতে দেখে অনেকেই হকচকিয়ে যান। তাঁরা জানান, বিধানসভার মূল দরজার সামনে প্রদীপ যাদবের গরুর গাড়ি প্রথমে আটকে দেন পুলিশ কর্মীরা। কিন্তু ডাকাবুকো বিধায়কের হুমকির সামনে পড়ে শেষ পর্যন্ত তাঁকে গরুর গাড়ি নিয়ে বিধানসভা চত্বরে ঢুকতে দেন পুলিশ কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন যে গেট দিয়ে বিধানসভার ভিতরে ঢোকেন সেই পর্যন্ত গরুর গাড়ি নিয়ে প্রদীপ যাদব পৌঁছে যান। প্রদীপের কথায়, “আমি বিধায়ক। আমি বিধানসভায় আসার জন্য যে কোনও ধরনের যানবাহন ব্যবহার করতে পারি।” অন্য দিকে, এই ঘটনার পরেই বিধানসভার অধ্যক্ষ শশাঙ্কশেখর ভোক্তা রাজ্যের মুখ্যসচিব রামসেবক শর্মা, স্বরাষ্ট্রসচিব এন এন পাণ্ডে, ডিজিপি রাজীবকুমার-সহ পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের বিধানসভায় ডাকেন। কী করে ওই বিধায়করা নিরাপত্তার ‘বেড়া’ ভেঙে বিধানসভায় চলে এলেন তা নিয়ে ডিজিপি আর স্বরাষ্ট্র সচিবকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। |
|
|
|
|
|