|
|
|
|
টুকরো খবর |
বড়দিনের আগে দীপদের উদ্ধারে অগ্রগতি হয়নি
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বড়দিনের আগে অপহৃতদের মুক্তির আশায় তাঁদের পরিবার মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখল। অন্য দিকে, অপহৃতদের অবিলম্বে মুক্তি চেয়ে সরব হল প্রধান বিরোধী দল এমএনএফ। কিন্তু পুলিশ জানাচ্ছে, এখনও উদ্ধারের ব্যাপারে কোনও অগ্রগতি হয়নি। গত ২৩ নভেম্বর মামিত জেলার ডাম্পা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কাছে চিখা শিবির এলাকা থেকে ব্রু-জঙ্গিরা, বাঙালি টেলিকম কর্মী দীপ মণ্ডল ও স্থানীয় বাসিন্দা দু’জন গাড়িচালক সাংলিয়ানথঙ্গা ও লালঝামলিয়ানাকে অপহরণ করে। পরে তাদের ত্রিপুরার জঙ্গি সংগঠন এনএলএফটির হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, অপহৃতদের ২৫ নভেম্বরই বাংলাদেশের ঘাঁটিতে নিয়ে গিয়েছে জঙ্গিরা। এত দিনের মধ্যে এক বার, দুই গাড়ি চালককে বাড়িতে ফোন করতে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জঙ্গিরা ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণও চেয়েছে। দুই গাড়িচালকের পরিবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে জানিয়েছেন, ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গিরা তাদের ফোন করে বলেছে, “রাজ্য সরকার জানে আমরা কী চাই। বড়দিনের আগে সরকার সেইমতো পদক্ষেপ না করলে ওদের আর দেখতে পাবে না।” দুই পরিবার মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলাকে সরকারের পক্ষে যথাসাধ্য সাহায্য করার আবেদন জানায়। এমএনএফ-এর তরফেও বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, এই ঘটনা মিজোরামের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। বড়দিনের আগে জঙ্গিরা নিঃশর্তে তিন অপহৃতকে মুক্তি দিক। তবে মামিত জেলার পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে থাকা অপহৃতদের মুক্তির ব্যাপারে এখনও তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। |
আড়িপাতা নিয়ে কমিশনের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
এক মহিলার উপরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নজরদারি নিয়ে তদন্ত কমিশন গড়ার দাবি জানাতে দিল্লি এলেন গুজরাত কংগ্রেসের নেতারা। বুধ ও বৃহস্পতিবার এই দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। আজ কংগ্রেস সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই দাবি জানালেন অর্জুন মোড়ওয়াড়িয়া ও শক্তিসিন গোহিল। সম্প্রতি এক স্টিং অপারেশনের পরে একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, ‘সাহেব’ অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে বেঙ্গালুরুর এক মহিলার উপরে গোপনে নজরদারি করছিল গুজরাত সরকার। ওই মহিলার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে তাঁর উপরে নজরদারি করা হচ্ছিল। এই কাজের দায়িত্ব আস্থাভাজন মন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়েছিলেন মোদী। কেন্দ্রের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, গুজরাতের কংগ্রেস নেতাদের দিল্লিতে গতিবিধি দলের তৈরি চিত্রনাট্য মেনেই হচ্ছে। এ দিকে এই বিষয়ে ক্যাবিনেট নোট তৈরি করা হচ্ছে। ১৯৫২ সালের ‘কমিশন অব এনকোয়ারি অ্যাক্ট’ অনুযায়ী তদন্ত কমিশন গড়তে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অভিযোগের কোনও জবাব দিতে পারেননি মোদী। কমিশন গড়ে তাঁকে বিপাকে ফেলাই উদ্দেশ্য কংগ্রেস তথা কেন্দ্রের। |
প্রসার ভারতীর শূন্য পদ পূরণ চায় কমিটি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সমালোচনায় সরব হল মন্ত্রকেরই সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সাম্প্রতিক রিপোর্টে কমিটি সাফ জানিয়েছে, মন্ত্রকের ঢিলেমি এবং ভ্রান্ত নীতির জন্য ভুগতে হচ্ছে প্রসার ভারতীকে। অভিযোগ, মন্ত্রক এবং প্রসার ভারতীর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য স্যাম পিত্রোদা কমিটিকে যে রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেও পূর্ণ সহযোগিতা করছে না মন্ত্রক। প্রসার ভারতী যাতে যথেষ্ট স্বায়ত্তশাসন পায়, তা নিশ্চিত করার কথা ছিল মন্ত্রকের। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা নসে ব্যাপারে নীরব। সংসদীয় রিপোর্টটিতে ধারাবাহিক ভাবে তোপ দাগা হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি ও তাঁর মন্ত্রকের বিরুদ্ধে। প্রসার ভারতীকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য মন্ত্রককে আরও সক্রিয় হতেও সুপারিশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘অত্যাবশ্যকীয় শূন্যপদগুলি পূরণ না-করলে দূরদর্শন এবং আকাশবাণী কী ভাবে কাজ করবে? কমিটি চায় অনুমোদিত ১১৫০টি শূন্য পদ এখনই পূরণ করা হোক।’ বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মন্ত্রকের কাছে দরবার করেছে প্রসার ভারতী। দূরদর্শন এবং আকাশবাণী মিলিয়ে মোট ১৪,২২২টি পদ খালি রয়েছে। |
মৈত্রী-আলোচনার মঞ্চেও কাঁটা স্থলসীমান্ত-বিতর্ক |
বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমান্ত চুক্তি ঘিরে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্যের বিরোধের ছায়া এসে পড়ল মৌলবাদ সংক্রান্ত আলোচনাতেও। যে পদ্ধতিতে ওই সংক্রান্ত বিলটি কেন্দ্র রাজ্যসভায় পেশ করেছে, তা নিয়ে আপত্তির কথা বাংলাদেশি অতিথিদের সামনেই জানালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্তর্দেশীয় আলোচনাচক্রে এমন বিষয় উত্থাপন করা সমীচীন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। বিধানসভার নৌসর আলি কক্ষে শুক্রবার ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সঙ্ঘে’র (বিবিএমএস) ডাকে ‘সোনার বাংলা: মুক্ত ভাবনা না মৌলবাদ’ শীর্ষক আলোচনাচক্রে আমন্ত্রিত ছিলেন স্পিকার। শাহরিয়র কবীর-সহ প্রতিবেশী দেশের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। মৌলবাদের বিপক্ষে সওয়াল করেই বিমানবাবু এক সময় বলেন, “সংসদ অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতবি হয়ে যাওয়ার ঠিক আগে যে ভাবে রাজ্যসভায় স্থলসীমান্ত চুক্তি বিলটি পেশ করা হয়েছে, তা ঠিক নয়।” ওই চুক্তির সঙ্গে যে হেতু রাজ্যের স্বার্থও জড়িত, তাই এক তরফা ভাবে কেন্দ্রের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় বলেও জানান স্পিকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে স্পষ্ট ভাবে এই বিষয়ে তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছেন, উল্লেখ করেন সে কথাও। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও ছিলেন সেখানে। তবে কেন্দ্র-রাজ্য বিরোধের প্রসঙ্গে না-গিয়ে তিনি শুধু আলোচনার পথে সমস্যা মেটানোর কথা বলেন। |
ধর্ষণে অভিযুক্ত পুলিশ |
১৭ বছরের এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার পাঁচ পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চণ্ডীগড়ের ঘটনা। গ্রেফতার হওয়া পাঁচ জনের মধ্যে এক জন ক্রাইম ব্রাঞ্চের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলা আদালত পাঁচ জনকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। নিগৃহীতা নাবালিকার অভিযোগ, পারিবারিক সমস্যার কারণে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল সে। সেখান থেকে ফোন নম্বর পেয়ে ডেকে একটি পিসিআর ভ্যানে পাঁচ পুলিশকর্মী তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। |
ধুবুরিতে বন্ধ |
ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত স্থল সীমান্ত চুক্তি বিলের বিরোধিতায় বিজেপি-র ডাকা, ১২ ঘণ্টা অসম বন্ধে ধুবুরির জনজীবন বিপর্যস্ত হল। শুক্রবার বন্ধ চলাকালীন ধুবুরি জেলায় সবরকমের যানবাহন বন্ধ ছিল। ধুবুরি, বালাজান, গোলকগঞ্জ, আগমনী, হালাকুরা, ছাগলিয়া এলাকার দোকানপাট, স্কুল, কলেজ, ব্যাঙ্ক, অফিস বন্ধ ছিল। জেলায় অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও ধুবুরি, গোলকগঞ্জ, আগমনী ২৫০ জন বন্ধ সমর্থনকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে বলে জানিয়েছেন ধুবুরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশিষ বরা। |
ধৃত ব্রু-জঙ্গি |
মিজোরামের জঙ্গি গোষ্ঠী ব্রু ন্যাশনাল আর্মির এক সদস্যকে ত্রিপুরা পুলিশ আটক করল। কাঞ্চনপুরের রিয়াং শরণার্থী শিবিরে ব্রু-জঙ্গিরা বহু দিন ধরেই সক্রিয়। ধৃতের বিরুদ্ধে কাঞ্চনপুরের রিয়াং শরণার্থী শিবির থেকে জোর করে চাঁদা আদায়-সহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে। |
|
|
|
|
|