বৃহস্পতিবারের শেষে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন। নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের ভাগ্যটা অত ভাল নয়। জোহানেসবার্গে নাটকীয় ভাবে ধোনিকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনলেন তাঁর পেস বাহিনী। আর জয়পুরে রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচনের পর যা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ললিত মোদীরই ক্ষমতায় ফেরার কথা। যদিও ব্যাপারটা সুপ্রিম কোর্টের আওতায় বলে এখনই আরসিএ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হচ্ছে না। হবে খুব সম্ভবত ৬ জানুয়ারি। একই দিনে মোদীর সমর্থকরা যখন প্লাকার্ড নিয়ে জয়পুরের রাস্তায় বিজয় মিছিলে বেরিয়ে পড়েছেন, তখন বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসনকে আইপিএল দুর্নীতি নিয়ে তদন্তকারী মুদগল কমিটির সামনে আসতে হল। শ্রীনিবাসনের জামাই গুরুনাথ মইয়াপ্পনকেও জেরায় বসতে হল কমিটির সামনে। |
ফল বেরনোর আগেই জয়পুরে মোদীকে নিয়ে উৎসব।
|
এতেই শেষ নয়। এ দিনই আবার রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার তরফে চিঠি দিয়ে বোর্ডকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই ললিত মোদীকে তাদের সংস্থার নির্বাচনে লড়তে দেওয়া হয়েছে।
মোদী নির্বাচনে দাঁড়ালে আরসিএ-কে সাসপেন্ড করা হবে বলে হুমকি দিয়ে দু’বার চিঠি পাঠিয়েছিল শ্রীনির বোর্ড। যার জবাবে এ দিন আরসিএ-র কার্যকরী সচিব কে কে শর্মা বোর্ডকে পাল্টা চিঠিতে লিখেছেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই আরসিএ-তে নির্বাচন হচ্ছে। আর প্রার্থী হিসাবে মোদীর বৈধতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বয়ং সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত অবজার্ভার। প্রার্থী হিসাবে ললিত মোদীর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন সেই অবজার্ভার। এবং মোদীকে নির্বাচনে লড়ার অধিকার দিয়েছেন। আমরা ধরে নিচ্ছি, বিসিসিআই আমাদের নিশ্চয়ই সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত অবজার্ভারের নির্দেশ অমান্য করতে বলছে না!” মোদী রাজস্থান ক্রিকেটের মসনদে বসলে বোর্ডের সামনে আইনি রাস্তা নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না। এখন পর্যন্ত যা খবর, বোর্ড ধীরে চলো নীতি নিতে পারে। সব কিছু খতিয়ে দেখার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আরসিএ কর্তারা আশাবাদী, বোর্ড তাদের সাসপেন্ড করতে পারবে না। আরসিএ-র আইনজীবী অভিনব শর্মা বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে বোর্ড সাসপেনশনের রাস্তায় হাঁটলে সেটা আদালত অবমাননার আওতায় পড়ে যাবে। “একটা নির্দষ্ট পদ্ধতি আছে সব কিছু করার। আরসিএ-কে সাসপেন্ড করতে গেলে সেটা নিয়ম মেনে করতে হবে। তাড়াহুড়োয় বোর্ড যদি কিছু করে তা হলে আদালতে যাওয়ার রাস্তা তো আমাদের খোলাই আছে।” |