নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান-সহ সাত ঠিকাদারকে সম্প্রতি বিডিও শোকজ করেন। ঘটনাটি নিয়ে কিছুদিন ধরে ঠিকাদারদের সঙ্গে বিডিও-সহ সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির টানাপোড়েন চলছে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দরপত্র তুললেন না ধূপগুড়ির ঠিকাদাররা।
এ দিন সকাল ১০টা থেকে পাঁচঘণ্টা বিডিও-র দফতরের সামনে পঞ্চাশ জন ঠিকাদার অবস্থানে বসেন। ঠিকাদাররা অবশ্য ভাইস চেয়ারম্যান-সহ সাত জনকে শোকজ করার সঙ্গে তাঁদের এই দরপত্র বয়কট করার ঘটনা মেলাতে রাজি নন। ধূপগুড়ির তৃণমূল নেতা তথা ঠিকাদার সংগঠনের সম্পাদক গুড্ডু সিংহ বলেছেন, “বেশ কিছু সমস্যার কারণে ওই ঠিকাদারেরা সময় মত কাজ শেষ করতে পারেননি। তার জবাব তাঁরা বিডিওকে দিয়েছেন। তবে নতুন কাজের জন্য যে দরপত্র দেওয়া হয়েছে সেখানে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। এর আগে টেন্ডার ছাড়া পঞ্চায়েত সমিতি কাজ করিয়েছে বলে আমাদের ধারণা। আমরাও চাই তদন্ত হোক।” দিনভর অবস্থান করলেও ঠিকাদারেরা অভিযোগ জমা দেননি বলে ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির কার্যনির্বাহী অফিসার তথা বিডিও সৌমেন্দ্র দূতরাজ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বিনা দরপত্রে কাজ করানোর যে অভিযোগ ওঁরা করছেন তা ঠিক নয়।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত আট মাস আগে ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরূপ দে’কে একটি প্রকল্পের জন্য ২৫ লক্ষ টাকার কাজের বরাত দেওয়া হয়। তাঁর মত বাকিরাও সময় মত কাজ শেষ করতে না পারায় মাস খানেক আগে বিডিও তাঁদের শো-কজ করেন। অরূপবাবু জবাবে জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং বর্ষার কারণে কাজ করতে দেরি হয়েছে। তিনি বলেন, “ঠিকাদাররা নিজেদের সমস্যা নিয়ে এ দিন আন্দোলন করেছেন। এখানে আমার বা তৃণমূল দলের কোনও বিষয় নেই।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৃষ্ণা বড়ুয়া বলেন, “ঠিকাদাররা নতুন কাজের দরপত্র কেন নেননি তা বলতে পারব না। তবে কোনও দুর্নীতি হয়নি।” |