প্রশাসনিক ক্যালেন্ডারে তালিকাভুক্ত কাজ সময়ে শেষ করতে হবে— বিভিন্ন দফতরের কর্তাদের এমনই বার্তা দিল পুর প্রশাসন। বুধবার কলকাতা পুরসভায় এ নিয়ে এক বৈঠক হয়। সেখানে মেয়র-সহ সব মেয়র পারিষদ, পুর কমিশনার ও প্রতিটি দফতরের কর্তারা হাজির ছিলেন। বৈঠকের পরে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য যে সময় দেওয়া হয়েছে তা মেনে চলতে হবে। না মানলে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাকে তার দায় নিতে হবে।” আগামী বছর কোন দফতরে কী কী কাজ হবে, সেই তালিকা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে পুর প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের প্রকল্পের তালিকা নিয়ে একটি বই বার হবে। সেই বইতে যুক্ত হবে পুর প্রশাসনের দেওয়া এই তালিকাও। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, তাদের ১১টি দফতরের বিভিন্ন প্রকল্প কবে শেষ করতে হবে, তার সময়সীমাও দেওয়া হয়েছে ওই তালিকায়। সেই তালিকা ধরেই কাজ করার নির্দেশ এ দিন দেওয়া হয় বিভিন্ন দফতরকে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক অফিসার জানিয়েছেন, কয়েকটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে তা কম। এটা বিবেচনা করা দরকার।
|
নাব্যতার সঙ্কটে হলদিয়া ও কলকাতা বন্দরে বড় জাহাজ আসতে পারে না। সাগরের স্যান্ডহেডে বড় জাহাজ থেকে বার্জে পণ্য নামিয়ে কলকাতা ও হলদিয়ায় আনার তোড়জোড় চলছিল কয়েক বছর ধরেই। তাতেও প্রথমে তেমন সাফল্য আসেনি। তবে ফরাক্কায় এনটিপিসি-র বিদ্যুৎকেন্দ্রে জলপথে কয়লা বহন শুরু হওয়ায় স্যান্ডহেডে পণ্য খালাস প্রকল্পে গতি এসেছে বলে দাবি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের। বন্দর সূত্রের খবর, সাগরে একটি বড় জাহাজ থেকে বার্জে রেকর্ড পরিমাণ পণ্য নামানো হয়েছে। এমভি সুপারম্যাক্স লোচ ক্রিন্যান জাহাজ থেকে ৬০ ঘণ্টায় নামানো হয়েছে ৪২ হাজার টন কয়লা। তার পরে বার্জে সেই কয়লা গিয়েছে ফরাক্কার পথে। এনটিপিসি-র জন্য কয়লা খালাসের বরাত পেয়েছে জিন্দল বার্জেস। বন্দরের প্রেস বিবৃতি জানাচ্ছে, হলদিয়া বন্দর থেকে ৬০ মাইল দক্ষিণে গভীর সমুদ্রে বড় জাহাজ দাঁড় করিয়ে সেখান থেকে ছোট জাহাজে ফরাক্কায় কয়লা নিয়ে যাওয়ার কাজ আগেই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই একটি বিদেশি জাহাজ ৬৯ হাজার টন কয়লা নামিয়েছে মাঝসমুদ্রে। সেই কয়লা ফরাক্কায় পৌঁছেও গিয়েছে। তার পরে সুপারম্যাক্স গোত্রের আরও একটি জাহাজ থেকে কয়লা নামানো হল। যে-দ্রুততায় এই কাজ হয়েছে, বন্দরকর্তারা তাতে খুশি।
|
কোথাও অগ্নিকাণ্ড ঘটলে মহিলাদের উদ্ধারের কাজে দমকলের মহিলা কর্মীরাই যাতে সাহায্য করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান বুধবার নবান্নে জানান, চুক্তির ভিত্তিতে দমকলে বেশ কিছু মহিলা কর্মী নিয়োগের কথা ভাবা হয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এই কাজে লাগানো হবে। দমকল দফতরে প্রায় ১,৫০০ জন সহকারী কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা আছে সরকারের। তারই কিছু পদ মহিলাদের জন্য রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দমকলমন্ত্রী বলেন, “অন্য কোনও রাজ্য এখনও পর্যন্ত দমকলে মহিলা কর্মী নিয়োগ করার কথা ভাবেনি।” মন্ত্রী জানান, সহকারী হিসেবে দমকলে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের বেতন অত্যন্ত কম। সরকার তাঁদের বাড়তি কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবছে। |