|
|
|
|
পাট্টার দাবি আদিবাসীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অবিলম্বে পাট্টার ব্যবস্থা, পাট্টাকৃত জমি রেকর্ডের ব্যবস্থা করা-সহ ২০ দফা দাবিতে বুধবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর হলে এক কনভেনশন করল ‘আদিবাসী বনবাসী অধিকার মঞ্চ’। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুশান্ত চক্রবর্তীকে একটি স্মারকলিপিও দেন মঞ্চের প্রতিনিধি দল। মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ঝর্ণা আচার্য্য বলেন, “দাবি পূরণের জন্য ১৫ দিন অপেক্ষা করব। না হলে ফের আন্দোলনে যাবো।” |
|
আদিবাসী বনবাসীদের কনভেনশন। |
মঞ্চের দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে ভূমি সংস্কার আইনের মাধ্যমে ভূমিহীনদের খাস জমি বিলি বণ্টনের ব্যবস্থা করা, ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পে আবেদন করা প্রত্যেককে জায়গা-সহ বসত বাড়ি দেওয়া, বনাধিকার আইন ২০০৬ জেলাতেও কার্যকর করা, বন পরিচালনায়। পাশাপাশি, বনাধিকার আইন কার্যকর করার ক্ষেত্রে আদিবাসী-অনাদিবাসী ভেদাভেদ চলবে না বলেও দাবি জানিয়েছে মঞ্চ। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগঠনের কর্মী-সমর্থকেরা কনভেনশনে যোগ দেন। মঞ্চের বক্তব্য, পশ্চিম মেদিনীপুরে আদিবাসী মানুষের সংখ্যা এক লক্ষেরও বেশি। বিনপুর ২ ব্লকে সর্বাধিক সংখ্যক আদিবাসী মানুষের বাস। সেখানে কৃষি মজুর, ইটভাটার মজুর প্রভৃতি কাজই আদিবাসীদের জীবিকার মূল অবলম্বন। মঞ্চের বক্তব্য, বর্তমান সরকারের ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ প্রকল্পে যে ভাবে সরকারি আধিকারিকরা ভূমিহীন পরিবারগুলোর হাতে তাদের জমির পাট্টা তুলে দিচ্ছেন, তাতেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, কোনও ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে যে জমিতে বসবাস করছেন, চাষ করছেন, কিন্তু জমির পাট্টা পাচ্ছেন অন্য জন। আবার কোনও ব্যক্তি কিছু দিন আগে পাট্টা পেলেও তা রেকর্ড করতে না পারায় জমির নতুন করে পাট্টা দেওয়া হচ্ছে অন্য কারও নামে। ঝর্ণাদেবীর বক্তব্য, “আদিবাসী বনবাসী ভূমিহীন পরিবারগুলোর জমির অধিকার বাস্তবায়িত করতে হলে শুধুমাত্র আইন করলেই হবে না। সরকারি আধিকারিকদেরও মানবিক হতে হবে।” |
|
|
|
|
|