|
|
|
|
|
|
|
|
আমি জানতে চাই পিপিএফ এবং মিউচুয়াল ফান্ড বাদ দিয়ে এমন আর কোন কোন ধরনের লগ্নি আছে, যেখানে মেয়াদ শেষে যে-টাকা পাব তা করমুক্ত হবে?
সে ক্ষেত্রে আমি প্রায় ৮% করমুক্ত রিটার্ন পাওয়ার আশা করব। তার জন্য কোনও নির্দিষ্ট প্রকল্পে ৫ বছর ধরে ওই টাকা লগ্নি করে রেখে দিতেও কোনও আপত্তি নেই আমার।
সুদীপ্তা দে, খড়দহ
আপনি করমুক্ত রিটার্ন পাবেন—
করমুক্ত বন্ডে: সরকারি অনুমোদন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের করমুক্ত বন্ড বাজারে ছাড়ে সংস্থাগুলি। ফলে এগুলিতে ঝুঁকির পরিমাণ বেশ কমই থাকে। পাশাপাশি যে-রিটার্ন পাওয়া যায়, তা-ও হয় যথেষ্ট আকর্ষণীয়।
যেমন বেশ কিছু দিন আগে এই ধরনের করমুক্ত বন্ড বাজারে ছেড়েছিল আরইসি, হাডকো এবং পিএফসি। বলা হয়েছিল, ক্ষুদ্র লগ্নিকারী, কর্পোরেট ও উচ্চবিত্ত লগ্নিকারী— সকলেই এই ঋণপত্র কিনতে পারবেন। লগ্নির মেয়াদ ছিল ১০ বছর/১৫ বছর/২০ বছর এবং সুদ ৮.১৪% থেকে ৮.৫%। তার উপর এই বন্ডের আরও একটি সুবিধা ছিল, এই লগ্নিপত্র ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টে রাখা যাবে। এমনকী বিক্রিও করা যাবে শেয়ার বাজারের মাধ্যমে। মাঝে-মধ্যেই এ রকম কিছু করমুক্ত বন্ড ছাড়ে বিভিন্ন সংস্থা। খেয়াল রাখুন।
জীবনবিমা পলিসির মেয়াদ পূর্তিতে: আয়কর আইন ১৯৬১-র ১০(১০ডি) ধারা অনুযায়ী, কোনও জীবনবিমা প্রকল্পের বিমামূল্য (সাম অ্যাশিওর্ড) যদি বার্ষিক প্রিমিয়ামের ১০ গুণ বা তার বেশি হয়, তবেই তা করমুক্ত হবে। তা না-হলে বিমা শেষ হলে হাতে আসা টাকার উপর কর দিতে হবে।
(পরামর্শদাতা: আর্থিক উপদেষ্টা শৈবাল বিশ্বাস)
জানতে চাই ডি-ম্যাট কী?
সমীর সাঁতরা
ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট হল শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ড ইত্যাদি বিনিয়োগপত্র বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে গচ্ছিত রাখার জায়গা। আমরা যেমন নগদ টাকা ঘরে না-রেখে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে জমা রাখি, ঠিক একই রকম ভাবে ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলে সেখানে জমা রাখতে পারি লগ্নিপত্র। আবার ব্যাঙ্কের পাশবই বা স্টেটমেন্ট দেখে যেমন বুঝতে পারি আমার নামে কত টাকা জমা রয়েছে সেখানে, তেমনই ডি-ম্যাট স্টেটমেন্ট থেকে জানা যায়, আমার নামে ওই অ্যাকাউন্টে কোন কোন লগ্নিপত্রে কী পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত আছে। অন্য দিকে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে যেমন টাকা তোলা যায় এবং জমা করা যায়, ঠিক তেমনই ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকেও লগ্নিপত্র স্থানান্তর করা যায় এবং নতুন লগ্নিপত্র জমা করা যায়।
বাজার থেকে শেয়ার কিনতে অথবা বিক্রি করতে হলে ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। যদিও বন্ড এবং ডিবেঞ্চারের ক্ষেত্রে এখনও ওই অ্যাকাউন্ট বাধ্যতামূলক নয়। তবে এক জায়গায় সব রকম লগ্নিপত্র রাখার সুবিধা আছে বলে অনেকেই বেশির ভাগ লগ্নিপত্র ডি-ম্যাট করে থাকেন।
বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও অনুমোদিত অন্য কয়েকটি সংস্থায় ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। খোলার নিয়ম ও পদ্ধতি অনেকটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতোই। এই অ্যাকাউন্ট রাখতে একটা বার্ষিক মাসুল দিতে হয়। আলাদা মাসুল লাগে প্রতিটি লেনদেনের জন্যও।
(পরামর্শদাতা: বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ অমিতাভ গুহ সরকার)
আমি সোনায় লগ্নি করতে চাই। ইন্টারনেটে দেখলাম একটি ওয়েবসাইটে সরাসরি সোনা ও রুপো কেনা যাচ্ছে। আমি জানতে চাই এ ভাবে সোনা বা রুপো কেনা কতটা নিরাপদ?
উত্তম পাল
দেখুন আপনি যে ওয়েবসাইটটির নাম উল্লেখ করেছেন, সেটি একটি প্রাইভেট ওয়েবসাইট। এই ধরনের ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে একটা সংশয় থেকেই যায়। বরং সব সময়ে এমন কোনও বাজারের মাধ্যমে লগ্নি করা উচিত, যার উপর কারও নিয়ন্ত্রণ আছে। এ ক্ষেত্রে গোল্ড ইটিএফ (ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি) গোল্ড ফিউচারের (এমসিএক্স) মতো প্রকল্পের কথা ভেবে দেখা যেতে পারে। এই সব বাজারের লগ্নি প্রকল্পগুলিতে বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে নিয়ন্ত্রকেরা নিয়মিত নজরদারি চালায়। সুতরাং লগ্নিকারীরা অনেকটাই সুরক্ষিত থাকেন।
(পরামর্শদাতা: পণ্য বাজার
বিশেষজ্ঞ অরিন্দম সাহা) |
|
|
|
|
|