ইস্টবেঙ্গলের প্রাক শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে শনিবার উপস্থিত দর্শকরা দেখতে পাবেন লাল-হলুদের সেই পঞ্চপাণ্ডবকে!
বিদেশের মাটিতে ইস্টবেঙ্গলের বিখ্যাত পঞ্চপাণ্ডবের খেলা সেই ঐতিহাসিক ১৯৫৩ সালের ম্যাচের কিছু মুহূর্ত দেখানো হবে জায়ান্ট স্ক্রিনে। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নামী ফুটবল ক্লাব টর্পেডো মস্কোর সঙ্গে যে ম্যাচে ৩-৩ ড্র করেছিলেন আহমেদ খান, সালে, ভেঙ্কটেস, ধনরাজ, আপ্পারাওরা।
শুধু মাত্র ইতিহাসের ছোঁয়া নয়। ইস্টবেঙ্গল অনুষ্ঠানে থাকবে আরও একটি চমক। বলিউডের ‘খিলাড়ি’ অক্ষয়কুমারকে ফুটবল পায়ে দেখা যাবে অনুষ্ঠানের মঞ্চে। অনুষ্ঠানের একটি বিশেষ অংশে। এ জন্য লাল-হলুদ কর্তাদের কাছে ৩০টিা ফুটবল চেয়েছেন অক্ষয়। তার আগের দিন অবশ্য ক্লাব তাঁবু উদ্বোধন করতে এসে চিডি-মেহতাবদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন অক্ষয়। সেই চেষ্টা হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলের ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে এমন ভাবে ফুটবলকে মেলানোর চেষ্টা করছি যাতে সদস্য-সমর্থকরা খুশি হন।”
জানা গিয়েছে, যুবভারতীতে অনুষ্ঠান শুরু হবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আবৃত্তি দিয়ে। এর পরই মোহনবাগানকে পাঁচ গোল দেওয়া ১৯৭৫-এর সেই ঐতিহাসিক দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। জমকালো অনুষ্ঠানের সঙ্গে অভিনব একটা কাজও শুরু করে দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। যা কখনও এ রাজ্যের কোনও ক্লাব করেনি। বাংলা ছাড়িয়ে অসম ও কেরলে কোচিং ক্যাম্প শুরু করতে চলেছে লাল-হলুদ। টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যৌথ ভাবে শুরু করছে নার্সারি ফুটবলারদের ক্যাম্প। লক্ষ্য, ২০১৭-র ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপের ভারতীয় দলে অন্তত দু’চারজন ফুটবলার উপহার দেওয়া। দেশের মোট তিনটি রাজ্যে এ জন্য শিবির হবে। বাংলার জলপাইগুড়ি, অসমের তেজপুর ও কেরলের কান্নুরে। চার সপ্তাহে প্রতিটি অঞ্চল থেকে ১২০ জন ফুটবলার বেছে নিয়ে এসে পর্যায়ক্রমে অনুশীলন করার পর ১৬ জনের দল তৈরি হবে। এর পর তিনটি অঞ্চলের তিনটি টিম একটি টুর্নামেন্ট খেলবে। অসমের তেজপুর ক্যাম্পের উদ্বোধন ২১ ডিসেম্বর। আর ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে জলপাইগুড়ির ক্যাম্প। প্রথম বছর অনূর্ধ্ব ১৬ ছেলেদের নেওয়া হবে। পরের বছর থেকে অনূর্ধ্ব ১২ ফুটবলারদের শিবিরে নেওয়া হবে। কোচের দায়িত্বে থাকছেন শান্তনু গুহ ঠাকুরতা (তেজপুর), কবি সরকার ও উত্তম চক্রবর্তী (জলপাইগুড়ি)। ক্লাব সচিব কল্যাণ মজুমদার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপ দলের জন্য কিছু প্রতিভা তুলে দেওয়া।”
এরই মধ্যে কলকাতা লিগের ভবানীপুর ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন আর্মান্দো কোলাসো। ম্যাচ বৃহস্পতিবার। চোট থাকায় অনুশীলন করতে পারেননি লালরিন্দিকা, গুরবিন্দর ও সৌমিক দে। মেহতাব অনুশীলনে এলেও জিম করেন। তবে চোট সারিয়ে অনুশীলন ফিরলেন ভাসুম। চোটের জন্য মাঠে আসেননি উগা ওপারাও। অনুশীলন শেষে লাল-হলুদ কোচ বলেন, “আমাদের দলের সাত জনের চোট আছে। দেখতে হবে এদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কাকে কাকে পাব।”
|