|
|
|
|
দোষ-মুক্ত হওয়ার আগে সংসদে ঢুকবেন না লালু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি
১৭ ডিসেম্বর |
দুর্নীতির মামলায় যতদিন না বেকসুর খালাস হচ্ছেন ততদিন আর সংসদ ভবনের পথ মাড়াবেন না লালুপ্রসাদ। যাবেন না সেন্ট্রাল হলেও। আজ সকালে রাঁচিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে রাজনীতি থেকে আমি দূরে থাকব না। আমি ভোটে দাঁড়াতে পারব না। কোনও নির্দিষ্ট আসন না থাকলেও আমরা আসন হবে ‘খেত-খনিয়ান’, মাঠ-ময়দান।”
আগামী লোকসভা নির্বাচনে লালু তাঁর মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীকেই বেছে নিয়েছেন। সমস্তিপুরে লালকৃষ্ণ আডবাণীর রামরথ তিনিই রুখেছিলেন। গ্রেফতার করেছিলেন আডবাণীকে। আজ তিনি বলেন, “মোদীর রথও আমিই রুখব।” লালু আজ আরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, “সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি কংগ্রেসের পাশেই থাকবেন।” একই সঙ্গে নিজের রাজনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে কংগ্রেসের পাশে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলিকে জোটবদ্ধ করার প্রয়াস চালিয়ে যাবেন। কিন্তু রাহুল গাঁধী, তিনিই তো অর্ডিন্যান্স আটকে দিয়ে আপনার সর্বনাশ করলেন? সাংবাদিকদের উস্কানিতে পা দেননি লালু, বললেন, “রাহুলকে দোষ দিচ্ছেন কেন? সর্বদলীয় বৈঠকে সবাই একমত হয়েছিল। তারপর আমায় নিশানা করে বিজেপি পিছিয়ে গেল সিদ্ধান্ত থেকে।” তবে লালু মনে করেন এখনই রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করাটা ঠিক হবে না। যদিও তাঁর বক্তব্য, “কংগ্রেস যাকে খুশি প্রার্থী করুক। আমার কী এসে যায়? কংগ্রেস যাকেই প্রার্থী করুক না কেন, আমি তাদের পাশেই আছি।”
লালুর পাশে ছিলেন পুত্র তেজস্বী। আগামী ভোটে আরজেডি-র প্রার্থী তালিকায় তার নাম থাকছে? লালু জানান, “ওর এখনও ২৫ বছর হয়নি। আগামী নভেম্বরে হবে। বিহার বিধানসভার পরের নির্বাচনে ও নিশ্চই প্রার্থী হবে।”
আজ বিকেলে, আড়াই মাস পর লালুপ্রসাদ পটনা ফিরে যান। তাঁকে পটনা পৌঁছে দিয়ে রাঁচি ফিরছিল তাঁর কনভয়ের কয়েকটি গাড়ি। ফেরার পথে কোডারমার কাছে দুর্ঘটনায় একটি গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়েছে।
|
পুরনো খবর: বেরিয়েই বললেন, মোদী ভাগাও |
|
|
|
|
|