পার হয়ে গিয়েছে দু’দুটো বছর। তবু ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের আগুন লাগার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার কোন আদালতে হবে, তা স্থির হল না এখনও। আলিপুরের কোন দায়রা আদালতের উপরে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ১৬ জনের বিচারের দায়িত্ব বর্তাবে, তা মঙ্গলবারই জেলা ও দায়রা-জজ সমরেশপ্রসাদ চৌধুরীর আদালতে স্থির হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী জামিনে মুক্ত ১৫ জন অভিযুক্ত হাজির ছিলেন। তবে রাধেশ্যাম অগ্রবাল নামে আরেক জামিনে মুক্ত অভিযুক্ত অসুস্থতার কারণে আসেননি। এ যাবৎ তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সেই আদালতে হাজির করানো হত। তবে
এ দিন ওই অভিযুক্তের তরফে আদালতে হাজির ছিলেন তাঁর আইনজীবী সেলিম রহমান।
২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর ভোরে আমরি হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে ৯১ জন রোগী মারা যান। গুরুতর জখম হন আরও অনেকে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন নার্সও ছিলেন। ওই ঘটনায় পুলিশ যে ১৬ জনকে গ্রেফতার করে, তাঁদের মধ্যে ১২ জন ওই হাসপাতালের ডিরেক্টর। অন্যেরা আধিকারিক।
এ দিন জেলা-জজ সমরেশপ্রসাদ চৌধুরীর এজলাসে সরকারি আইনজীবী শক্তি ভট্টাচার্য জানান, পুড়ে যাওয়া হাসপাতাল থেকে পুলিশ যে হার্ড ডিস্ক ও কম্পিউটারগুলি বাজেয়াপ্ত করেছিল, সেগুলি কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক বিজ্ঞান গবেষণাগারে পাঠানো হয়। তা থেকে একটি সিডি তৈরি করে তাঁরা পুলিশকে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে একটি রিপোর্টও দিয়েছেন। শক্তিবাবু জানান, সিডিটি সিল করা রয়েছে। বিচারের আগে সিল ভেঙে সেগুলি থেকে কপি বার করে দেওয়া সম্ভব নয়। বরং গবেষণাগারকে নির্দেশ দিলে এই কাজ করে ফেলা সম্ভব।
এর পরেই ৩১ জানুয়ারির মধ্যে পুলিশকে দেওয়া সিডির আরেকটি কপি করে সরকার পক্ষের কাছে দেওয়ার জন্য গবেষণাগারের অধিকর্তাকে নির্দেশ দেন জেলা-জজ। ওই দিন আদালতে সব অভিযুক্তকেই হাজির থাকতে নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযুক্তদের তরফে আইনজীবী সেলিম রহমান আদালতকে জানান, শুধু সিডি পেলেই হবে না। এর পরেও তাঁদের আরও কিছু কপি পাওয়া বাকি থাকবে। সব পেলে তবেই কোন আদালতে এই মামলার বিচার হবে, সেটা ঠিক করা যাবে। সেই মতো মামলা স্থানান্তরিত করা হবে।
|