শীতের শুরুতেও আয়ত্তে আসেনি বাজারের আগুন। আমজনতা, সেই সঙ্গে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে আরও ঊর্ধ্বমুখী পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি।
পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার সোমবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী নভেম্বরে ছুঁয়েছে ৭.৫২%। যা গত ১৪ মাসে সবচেয়ে বেশি। অক্টোবরের হার ছিল ৭%। খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধির মতোই এ ক্ষেত্রেও কাঠগড়ায় সেই খাদ্যপণ্য, বিশেষ করে আলু-পেঁয়াজ। প্রসঙ্গত, খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার নভেম্বরে ছুঁয়েছে ১১.২৪%। |
অর্থনীতিবিদদের নিয়ে করা রয়টার্সের এক সমীক্ষায় পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ৭ শতাংশেই থাকবে বলে ইঙ্গিত মিলেছিল। সরকারি পরিসংখ্যান সেই পূর্বাভাসকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের ক্ষেত্রে পাইকারি বাজারের মূল্যবৃদ্ধি ১৯.৯৩%। অক্টোবরে তা ছিল ১৮.১৯%। গম, ডাল, সব্জি, দুধের মতো খাদ্য সামগ্রীকে ধরে এই হিসাব করা হয়েছে। আর, শুধু শাক-সব্জিকে ধরে হিসাব করলে যা ৯৫.২৫%। অক্টোবরে ছিল ৭৮.৩৮%। পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি গত মাসে হয়েছে ১৯০.৩৪%। আলুর দাম বেড়েছে ২৬.৭১%, অক্টোবরে যা কমেছিল।
মূল্যবৃদ্ধির পরিসংখ্যানের জেরে হতাশ শেয়ার বাজারে সেনসেক্সও ছিল পড়তির দিকে। বাজারে লেনদেনও ছিল কম। ৫৬ পয়েন্ট পড়ে সেনসেক্স থিতু হয় ২০,৬৫৯ পয়েন্টে। এই নিয়ে পরপর ৫ দিন পড়ল সূচক। সোমবার অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় টাকা। ডলারে টাকার দাম বাড়ে ৩৯ পয়সা। দিনের শেষে প্রতি ডলারের দর ছিল ৬১.৭৩ টাকা। বাজার সূত্রের খবর, বিদেশি লগ্নিকারীদের ডলার বিক্রির প্রভাব ছাড়াও টাকাকে টেনে তুলতে এ দিন হস্তক্ষেপ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যার জেরে এই উত্থান। |