|
|
|
|
পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ৭ শতাংশে
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি ও মুম্বই |
খুচরো বাজারের পথেই হাঁটল পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা মূল্যবৃদ্ধির হার। পেঁয়াজ ও অন্যান্য শাক-সব্জির অগ্নিমূল্যের জেরে অক্টোবরে তা বেড়ে ছুঁল ৭ শতাংশ, যা গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। |
|
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই সরকারি পরিসংখ্যানে উদ্বিগ্ন শিল্পমহল বাজারে খাদ্য সরবরাহ বাড়াতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। তবে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে এ দিন চাঙ্গা ছিল শেয়ার বাজার। গত আট দিনের মধ্যে এই প্রথম ঊর্ধ্বমুখী ছিল সেনসেক্স। বাজার বন্ধের সময়ে তা ২০৫ পয়েন্ট বেড়ে বন্ধ হয় ২০,৩৯৯.৪২ পয়েন্টে। মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভের ভবিষ্যৎ কর্ণধার জ্যানেট ইয়েলেন আর্থিক ত্রাণ প্রকল্প আরও কিছুদিন চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়াতেই সেনসেক্স প্রাণ ফিরে পায় বলে বাজার সূত্রের খবর। ওয়েবসাইটে দেওয়া মার্কিন শীর্ষ ব্যাঙ্কের বিবৃতি অনুযায়ী, ইয়েলেন বলেছেন, “মার্কিন অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে এবং হারানো জমি ফিরে পেতে ত্রাণ প্রকল্প বহাল রাখা হবে।” উঠতি শেয়ার দরই এ দিন ডলারে টাকার দাম বাড়াতেও ইন্ধন জুগিয়েছে। টাকা ১৯ পয়সা বাড়ায় দিনের শেষে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৩.১১ টাকা।
পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি অক্টোবরে ৭ শতাংশে পৌঁছেছে মূলত শাক-সব্জি ও খাদ্য সামগ্রীর আকাশছোঁয়া দামের জেরে। শুধু খাদ্যপণ্যের দামই বেড়েছে ১৮.১৯%। এই পরিপ্রেক্ষিতেই খাদ্য সরবরাহ বাড়াতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছেন বণিকসভা সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই মত ফিকি-রও। অ্যাসোচ্যাম বলেছে, ভাল বর্ষা সত্ত্বেও কেন কৃষিপণ্যের দাম বাড়ছে, তা তাদের বোধগম্য হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৬.৪৬ শতাংশে। |
|
|
|
|
|